যৌবন আছে যার সেতো বিজয়ের গান গাইবে,
খরস্রোতা নদী সেতো ভেঙ্গে চুরমার করবে।
জাগাবে একটি দ্বীপ গড়বে বসতি আঁকাবে সবুজ শ্যামল,
দর্জি কাপড় তো আস্ত রাখেনা কেটে বানায় শাড়ীর আঁচল।
টুকরো টুকরো কাঠ জোড়া দিয়ে সাজাতে হয় মন মাতানো ঘর,
সে ঘর ভাঙবেনা যতই আসুক কাল বৈশাখী ঝড়।
গুটি পোকা লালা দিয়ে গড়ে তোলে রেশমী মল,
এটি ছিড়ে ফেরে তৈরী হয় ফুল শয্যার মখ-মল।
কেহ তো বলেনি থেমে যাও ছিড়না, ভেঙ্গনা, টুকরা করনা,
সকলেই জানে দুখী ও লাঞ্চিত মানুষেরা খুঁজে পাবে তাদের ঠিকানা।
ফিরে  এসো গান কর সেই সালতানাতের,
বাড়ী ফিরবে না শপথ আল্লাহর সন্ধান দিবে সঠিক পথের।
জালিমশাহীর পেয়েছে যেখানে সেখানেই হয়েছে লড়াই
অর্র্ধ জাহান  শাসন করে কখনো করেছে বড়াই?
অসহায়ের পাশে ভিখারীর বেশে ঘুরেছে সারাক্ষণ,
বিশ্রামের সাধ জাগেনি তখনো পুড়ে চলেছে মন।
বখতিয়ারের ঘোড়া থামেনি উড়েছে বিজয় নিশান,
জায়নামাজকে কিস্তি বানিয়ে গেয়েছে জয়গান।
কেন যুবক? তুমি আজি গ্লানি বয়ে চলেছো দিগ্বিদিক,
আবাল-বৃদ্ধা-বনিতা সকলেই দিচ্ছে ধিক!
তুমি জাগো! কান পেতে শোন এ জনপদের হাহাকার,
শুনতে কি পাও পৃথিবী জুড়ে বনী আদমের চিৎকার।
গড়বে তুমি নব বসতি ভেঙ্গে ফেল জড়া জীর্ণ,
এফোড় ওফোড় করে ফেল অত্যাচারির বুক বিদীর্ণ।
তুমি আগাও দেখিবে সকলেই দিবে মারহাবা,
লক্ষ্মী যুবক তোমাকে যেন আর গ্রাস না করে নেশার মরন থাবা।