খুব যত্নে অদৃশ্য সুতোর মায়ায় ভর করে,
কাছে গিয়েছিলাম ।
দেখলাম চুপটি করে বসে আছে,
তৎক্ষণাত বুকের ভেতরটা শিউরে উঠেছে,
যে মুখে হাসিটাই মানানসই,
সে মুখটা কেন এমন !
মনে হচ্ছে আখিজলে তার চোখ,
দীর্ঘ বর্ষণকেও হার মানাবে ।
সেই বর্ষণ আটকাতে তার দিকে দুহাত পেতে দিলাম,
নিয়ে গেলাম অতীত সূদুরে,
সে ঘুরল ফিরল,
নতুন অতিথিকে বরণ করতে তখন ব্যস্ত সবাই,
চালতাফুল শুধু অবসরে,
আমি ফুলে ফুলে তার খোপা সাজাতে ব্যস্ত,
সে তখনও চুপচাপ,
আনমনে আমার অস্তিত্ব তখনও,
সে চিন্তা করে নি,
কতটা উদগ্রিব তার জন্য,
আমি, আমার প্রতিটা শিরা উপশিরা !
তাকে বললাম স্তবদ্ধতা কাটাতে,
সে আমায় বলল দয়া দেখাচ্ছ !
হ্যা তবে তাই,
যদি তোমার মুখে হাসি ফুটে,
যদি তুমি আবার আমার আকাশে,
উড়তে পারো, তবে,
তবে সে দয়া আমি দেখাতে চাই,
কারও খুশির জন্য কিছু করলে,
যদি দয়া করা হয়,
একুখানি হাসির জন্য যদি নিজেকে উজার করতে হয়,
রাজি আমি রাজি,
আমার মনপরী যদি চায় ।