আমি অনৈতিক সম্পর্ক তাকেই বলি,
সামাজিক নীতি এবং নিজ ধর্মকে উপেক্ষা করে,
কারো সাথে যে সুগভীর সম্পর্ক গড়ে তুলি।
আমি অনৈতিক সম্পর্ক তাকেই বলি,
যে সম্পর্কের গল্প ধ্বনিত করতে শঙ্কা লাগে,
তাই সাধুতার চাদরে লুকিয়ে উল্লাসে পথ চলি।


বীপরিত লিঙ্গের প্রতি আকর্ষণ, একটি ধারবাহিক ব্যাপার।
মানুষ সৃষ্টির আদিকাল হতেই এর যাত্রা সূচিত।
আবার প্রত্যেক জীব বৈচিত্র্যেই এর নমুনা বিদ্যমান।
কিন্তু আমরা মানুষ শ্রেষ্ঠ জীব হিসেবে অধিকৃত।
এই শ্রেষ্ঠত্বের দৃষ্টিপাতে কৃষ্টিই আগে ভাসে।
আর উৎকৃষ্ট কৃষ্টির জন্যই মোরা মানুষ মহীয়ান।


বীপরিত লিঙ্গের কারো সাথে মেশা যাবে না,
তা আমি বলছিনা কাউকে।
মিশবে না কেন? অবশ্যই মিশবে।
নরের জন্যই নারী হল সৃষ্টি, তা আছে সবার'ই জানা।
তবে কারো সাধ্যি আছে, তোমায় মিশতে করবে মানা!
কিন্তু আমি বলছি, এ মেশার কিছু সুশীল- পূর্ণ- কায়দা আছে।
এসব কায়দাকে লঙ্ঘন করে যদি ঐ পথ বেছে নাও,
তবে তুমি মানুষ রুপে পশুর কার্যে যাও।


আরেকটি বিষয় এই আলোচনায় ব্যক্ত করতে হয় ;
গরিষ্ঠ বাড়ীর আঙ্গিনা'ই হয়ত যে বিষয়ে মুক্ত নয়।
ভালবাসা নামে ছেলে-মেয়েরা তৈরী করে জুটি ;
বিলজ্জ চিন্তার হালচালে গড়া ওদের জীবন দুটি।
পরীক্ষা স্বরুপ ধরাতেই নাকি পেয়েছে স্বর্গের তরি।
কত নিবিড় তাদের মেলামেশা! তাই ভেবে মরি।
ম্যাথ ফিজিক্স এবং কেমিষ্ট্রি, এই নাকি সম্পর্কের ক্লাস ;
আর লেসন গুলো সব আড়ালেই করে, জানালায় থাই গ্লাস।


আমি বলছিনা যে, ভালবাসা অপরাধ ;
কিন্তু ভালবাসা নামে যে অন্তরঙ্গের মেলামেশা,
কখনো খোলা, কখনো বদ্ধ স্থানে সময় কাটানো,
এমন ঘৃণিত কাজগুলোকেই বলি আমি অপরাধ।
আমি বলছিনা যে, ভালবাসা কারো ক্ষতি ডেকে আনে ;
কিন্তু চাইনিজ, পার্ক প্রভূতি স্থলে সঙ্গে নিয়ে ঘুরাঘুরি,
নিজের প্রতি অন্য কাউকে আসক্ত করানো,
এসব কোন না কোন ভাবে সত্যিই অভিশাপ হয়ে হানে।


হতে পারে, কাউকে প্রেম সম্পর্কে জড়িয়ে নিয়ে,
তার গুপ্ত সঙ্গমের বাসনা পূর্ণ করার নাম ভালবাসা।
আবার সতীত্ব শিক্ষা দিয়ে,
তাকে ব্যাভিচার থেকে দুরে রাখার নামও ভালবাসা।
হতে পারে, একটি সোনার আংটি চুরি করে এনে,
কাউকে উপহার দেয়ার নাম ভালবাসা।
আবার, সর্বপ্রকার অসদুপায় থেকে বিরত থেকে,
একটি রুপোর আংটি দেয়ার নামও ভালবাসা।
হতে পারে, নামাজ না পড়া সত্ত্বেও,
সহধর্মিণীকে বকাঝকা না করার নাম ভালবাসা।
আবার, ধর্মীয় নীতির শিক্ষা দিয়ে,
তাকে থাপ্পর মেরে শাসন করার নামও ভালবাসা।


ভালবাসা শব্দটির অর্থ মোটেও খারাপ নয় ;
বরং আমি মনে করি, তা মানব গুণের শীর্ষে দাড়িয়ে রয়।
কিন্তু এর অর্থটা আমরা নিজেরাই বিকৃতি করে ফেলছি।
ভুলে যাচ্ছি ক্রমে, এর প্রকৃত সুন্দর অর্থটাকে।
গাভীর এক জাগ ধুসর দুধ নষ্ট করতে,
তার এক ফোটা মুত্র'ই যেমন যথেষ্ট ;
তেমনি ভালবাসা শব্দটির অর্থটা নষ্ট করতে,
একটি অসুদাপায় কিংবা নিকৃষ্ট কৃষ্টিই যথেষ্ট।


তুমি কাউকে তীব্র ভালবাসা দেখাতে চাও?
তবে উত্তম পন্থায় তাকে সবকিছু বিলিয়ে দাও।
তোমার ভালবাসার বিপুলতা বুঝাতে চাও?
তবে শাজাহানের মত তাজমহল গড়ে দাও।
কিন্তু লালসা বাসনা পূর্ণের জন্য পর্দার আড়ালে ডেকনা।
আর যদি ডাক, তবে একটি মিনতি রাখ ;
এ কুশীল কাজকে ভালবাসা নামে আখ্যায়িত করনা।
অভিধান খুলে দেখ, অনেক শব্দ আছে চয়নের অপেক্ষায়।


প্রত্যেকেই চায়, সেই ব্যক্তিকেই করব বিয়ে,
যে সবার দিকে তাকায় নেক নজরে,
এবং যার বেশভুষায় লোলুপ না পড়ে।
কিন্তু সতীত্ব শিক্ষার পাঠ্য ভুলে,
আমরা নিজেরাই যদি কুস্তিগিরি করি,
তবে আশা করি কিভাবে নিজেরাই আবার,
একজন সতী সঙ্গী পাবার!


পৃথিবীটা বড়ই আজব ; কত গজব গিজগিজ করে সর্বদায় চারিদিকে।
এসব থেকে মুক্তির জন্য প্রয়োজন, স্রষ্টার সন্তুষ্টি অর্জন।
আর ব্যাভিচার জঘন্য কাজ, যাতে তিনি বড়ই অসন্তুষ্ট হন।
আর হবেন না কেন? গজব দেবেন না কেন?
আমি মনে করি, তা দেবার'ই দরকার।
যদি নর-নারীর মেশার মধ্যে ব্যাভিচার নামে কিছু না থাকত,
তবে দিন-দুপুরে তোমার সহধর্মিণীকেও ঢিল ছুড়ত।
তখন ঠিক'ই বুঝে নিতে, আপনজনের দূষ্কৃতি কত বেশী কষ্ট দেয়।


সর্বশ্রেষ্ঠ গ্রন্থ আল কোরআনে বলা হয়েছে,
উত্তম নারী উত্তম পুরুষের জন্য এবং ব্যাভিচারী ব্যাভিচারীনির জন্য।
বাস্তবে এটা সকলের ক্ষেত্রেই ঘটে, তা বলা ঠিক হবেনা বটে।
কিন্তু তবুও দেখ আজকাল, তা শতভাগের কাছাকাছিই ঘটে।
তাই তুমি যেরকম সেরকম'ই সঙ্গী পেতে প্রস্তুত থাক।
আমিও দু'আ করছি স্রষ্টার কাছে, তাই যেন করেন তিনি।


তোমার বন্ধু কলম চুরি করে তোমাকে বলবে যখন,
"দোস্ত কলমটা এখন তোর, চুরীর দায়ভারটাও তুই নিয়ে নে।"
বিষয়টি নিশ্চয় নিরবে সহ্য করবেনা তখন।
বাঘের মত গর্জন অর্জন না হলেও চক্ষুদ্বয় করবে লাল।
কারণ, মুল্যবোধের শিক্ষা কিছুটা হলেও তোমার মাথায় বহাল।
সামান্য কলম দিয়ে আত্মসম্মানকে বিক্রি করার মত বোকা তুমি নও।
কিন্তু সেই মহামুল্যবান সম্মান, নারীর সঙ্গমের নিকট তুচ্ছ করে কেন দেখ!
তাই পরামর্শ দিচ্ছি, সমাজে আত্মসম্মান নিয়ে বাঁচতে শেখ।
এতে প্রচুর আত্মতৃপ্তি পাবে, ভালবাসাও পাবে সবার।
সৃষ্টিকর্তার কাছে পাবে অফুরন্ত নিয়ামত ও রহমতের জোয়ার।