*** আমার উদ্ভাবনী এ কবিতাটির বিশেষ বৈশিষ্টঃ-


১) কবিতার স্তবক সংখ্যা ১৮ টি।
২) প্রত্যেক স্তবকের চরণ সংখ্যা ১৮ টি।
৩) প্রত্যেক চরণের মাত্রা সংখ্যা ১৮ টি।
৪) প্রত্যেক স্তবকের চরণগুলোর মিলবিন্যাস ১৮ টি ‘ক’। সকল জোড় স্তবকগুলোর ছন্দদল একই। আর বেজর স্তবকগুলোর ছন্দদল প্রত্যেকটির আলাদা আলাদা। অর্থাৎ এক স্তবক অন্য স্তবকের সাথে মিল থাকবে না। কারণ একই ছন্দ বেশী উচ্চারিত হলে শ্রবণে বিরক্তি-ভাব আসে। তাহলে সম্পূর্ণ কবিতাটির ছন্দ-মিল দাঁড়াবে ১৮টি ক, ১৮টি খ, ১৮টি গ, ১৮টি খ, ১৮টি ঘ, ১৮টি খ, ১৮টি ঙ, ১৮টি খ, ১৮টি চ, ১৮টি খ, ১৮টি ছ, ১৮টি খ, ১৮টি জ, ১৮টি খ, ১৮টি ঝ, ১৮টি খ, ১৮টি ঞ, ১৮টি খ।
৫) প্রত্যেক স্তবকের ১৮ টি চরণের প্রারম্ভিক মাত্রাগুলো ক্রমান্বয়ে সাজালে একটি অতিরিক্ত পরিপূর্ণ চরণ পাওয়া যাবে। আর সেই চরণটিই হবে উক্ত স্তবকের মূলভাব অথবা ভাব সম্পর্কিত। এভাবে ১৮টি স্তবকে ১৮টি অতিরিক্ত চরণ পাওয়া যাবে। সেগুলো আলাদা আলাদা ভাবের হলেও সেসবের মাঝে একটি তাল থাকবে এবং একসঙ্গে পড়লে পুরো কবিতাটির মূলভাব পরিস্ফুটিত হবে।
৬) প্রত্যেক চরণ শেষে অবশ্যই অর্ধ যতি কিংবা পূর্ণ যতি থাকবে। আর চরণের মাঝে অর্ধ যতি থাকতে পারে কিন্তু কখনও পূর্ণ যতি থাকবে না।
৭) প্রতি স্তবকের অতিরিক্ত চরণটি প্রয়োজনে ভেঙ্গে (উদাঃ আল্লাহ= আললাহ) রচন করা যাবে কিন্তু তা সীমাবদ্ধতা হিসেবে গণ্য হবে। আবার ণ দিয়ে কোন শব্দ সৃষ্টি হয় না কিন্তু বাংলা অভিধানে ণ যুক্ত বহুল শব্দ থাকায় তাকে পরিত্যক্ত করা দুঃসাধ্য ব্যাপার। তাই অতিরিক্ত চরণটি গঠন করার নিমিত্তে চরণের আদ্যাক্ষরে ণ এর স্থলে ন ব্যবহার করা যাবে তবে সেটি সীমাবদ্ধতা হিসেবে তালিকাভুক্ত হবে। কিন্তু কবিতার সীমাবদ্ধতা ১৮ টির বেশী হতে পারবে  না।


সেই কবিতার আলাদা আলাদা জায়গা থেকে দুইটি স্তবক তুলে ধরলামঃ


আমি যখন বীরের মতন হেঁটে চলেছি পায়ে,
মা নয় বাবা নয় বোন এবং বন্ধুকে সঙ্গে নিয়ে।
রবি তখনো পৌঁছায়নি দক্ষিণ-পূর্ব কোণে গিয়ে।
কাত হয়েছি কেবল মনুষ্য ভিড়ের মধ্য দিয়ে।
ছেদ করলাম আমার চলা দৃষ্টি রেখে তোমায়ে।
তুমি হাঁটছিলে তোমার বান্ধবীদের সাথে নিয়ে।
মিষ্টি ও সোনালী রোদ্দুর পড়ছিল তোমার গায়ে।
পৃষ্ঠ বক্ষ এবং মস্তক ছিল হিজাবে আঁকড়িয়ে।
থির হয়ে গেল চেতনা মোর তোমার দিকে চেয়ে।
বীক্ষণ প্রবল হৃদয় চপল মস্তিষ্ক বিস্ময়ে।
স্বর্ণ নয় হীরা নয় আমি দেখেছি একটি মেয়ে।
রূপ গঠন নয় সাধারণ ; পড়ে গেছি প্রণয়ে।
পদার্থ প্রাইভেট পড়ে তুমি আসলে বের হয়ে।
যে দ্বায়ে মোর সম্মুখ দিয়ে হেঁটেছ ঘোমটা দিয়ে।
টিপটিপ হাসি, চোখের চাহনি দিয়েছ দেখিয়ে,
এর আগে তোমার ঐ ঘোমটাকে নিয়েছ নামিয়ে।
কঠিন আকুতি তব প্রতি চলে যাচ্ছ ভ্যান নিয়ে।
টিমটিম শ্বাস ব্যর্থ প্রয়াস আমি যে নিরুপায়ে।


বিঃদ্রঃ- উপরোক্ত স্তবকের প্রথম মাত্রাগুলো পড়লে যে অতিরিক্ত চরণটি তৈরি হবে তা হলঃ আমার কাছে তুমি পৃথিবী স্বরূপ যেটি একটি।


শিক্ষা দীক্ষা ভিক্ষা কর উপেক্ষা নয় প্রতীক্ষা কর।
খোদার পৃথিবীতে শিক্ষার বিষয় আছে অজস্র।
ওতপ্রোত হয়ে রয়েছে হরেক শিক্ষা যত্রতত্র।
জানতে ও ভাবতে হবে ; জ্ঞান বুদ্ধি বাড়বে আরো।
নোড় বৃহৎ যাই ভাব, সবাই এই ধরার'ই ছাত্র।
নরাধম তারা'ই, যাদের হাতে-গণা জ্ঞান মাত্র।
তুমি সুশিক্ষিত ব্যক্তির থেকে কিছু শিখতে পারো।
বাড়াতে পার জ্ঞান যদি বই এবং পত্রিকা পড়।
নিজে ইন্টারনেট থেকেও অনেক শিখতে পারো।
জেতব্য সে নয় যে শিক্ষা ব্যতীত চেষ্টা করে মাত্র।
কেষ্টবিষ্টু যত দেখেছি তারা শিখেছেন অজস্র।
জানবে কিন্তু সঠিক শিক্ষা ভুল শিক্ষা ত্যাগ কর।
নর-নারীরা যত বেশী জ্ঞান করে মস্তকে জড়ো,
তেনারা তত বুঝে অজানা জ্ঞান আছে কত আরো।
পাগলরা কেউ'ই জানেনা সে নিজে পাগল পাত্র।
রম্য অজ্ঞানী অর্থাৎ যাদের শিক্ষার জীবন ক্ষুদ্র,
বেচারা কি জানেনা সেটাও বোঝেনা একবারও।
নাও শিখে প্রয়োজনীয় শিক্ষা রম্য জীবন গড়।


বিঃদ্রঃ- উপরোক্ত স্তবকের প্রথম মাত্রাগুলো পড়লে যে অতিরিক্ত চরণটি তৈরি হবে তা হলঃ শিখো ও জানো নতুবা নিজেকে জানতে পারবে না।


এভাবে আমার ১৭টি স্তবক প্রায় সমাপন হয়ে গেছে আর একটি বাঁকি। আমার জন্য দোয়া করবেন যেন তাড়াতাড়ি শেষ করতে পারি। ত্রুটি মনে হলে জানিয়ে দেবেন।