স্কুল শুরুর আগেই শুরু হলো বৃষ্টি,
দুষ্টু ছেলের দলের সাথে ভিড়ে গেছি,
স্কুলেই আর যাওয়া হোল না
কারণ, জাম ছিল স্কুল এর চেয়ে মিষ্টি...
বাসায় ফিরতেই মায়ের অগ্নি দৃষ্টি,
মুহূর্তেই আষাঢ়ে গল্প সৃষ্টি...


বৃষ্টিতে খেলছিলাম বল,
সাথে সেই দুষ্টু ছেলের দল,
বল চলে গেলো ওয়াল টপকে,
আনতে যেতে হবে সেথায়...
অচেনা কিশোরীর উদ্দাম হাসি...
যেন বাজ ফেলল মাথায়...
গডফাদারের রূপক বাজ,
বলতে আজ আর নেই  কোন লাজ,
পকেটে আমার প্রেমের প্যাকেট,
সেদিন থেকে আজ।


বৃষ্টিতে কখনোই ছিলনা আমার অ্যালার্জি,
বৃষ্টির কাছ থেকে পালাবো
কখনো হয়নি এমন মর্জি...
যাচ্ছিলাম বাসায়, তখনো কমলাপুর,
উঠলাম ওভারব্রিজে...
এমন সময় নামলো বৃষ্টি হুড়মুড়।
আমি আর আমার ব্যাবহারিক খাতা,
দুজনেই ভিজলাম ভরপুর,
খাতাটাকে নতুন করে
লিখতে হলো অতঃপর...


কক্সবাজারে সেবারই আমি প্রথম যাই...
প্রথম দেখা সাগরের কোন তুলনাই নাই।
পাঁচ নম্বর বিপদ সংকেত তখন চলতি,
বৃষ্টির ফোঁটায় যেন রকেটের গতি...
বৃষ্টির ফোঁটার কাছে স্বীকার করে নতি,
পালাতে বাধ্য হলাম হোটেল এর প্রতি।


এক বছর কুয়াকাটায়, করেছিলাম চাকরি...
প্রকৃতিকে চিনেছিলাম...
কামিয়েছিলাম, কিছু টাকা-কড়ি...
রৌদ্রকে করে বিলীন, অন্তহীন,
বৃষ্টি ঝরে একটানা চৌদ্দ দিন...
সে এক অন্যরকম দৃশ্য...
কি দিব তার বর্ণনা,
যে দেখেনি, সে কক্ষনোই বুঝবে না...
বৃষ্টিতে ভিজেছিলাম নিরুপায়...
সারাক্ষণ টেনশন, কি ভাবে কাপড় শুঁকাই...
আসলে টেনশন কইরা লাভ নাই,
বৃষ্টি যে ভয়ানক, বুঝেছিলাম অচিরেই...


একদিন অফিসের কাজে নীলক্ষেতে...
প্রচুর পরিমান কাজ হাতে,
নিয়ে যাচ্ছি সব প্রিন্ট দিতে...
সব কাজ যখন হলো শেষ,
ততোক্ষণে ঘড়িতে সাতটা বেজে দশ!!!
অফিস টাইম শেষ,
অলরেডি এক ঘণ্টা লস।
কাজের সাথে মিলিয়ে নিচ্ছি লিস্টি,
এমন সময় মেঘ না চাইতেই বৃষ্টি...
কাগজ ভেজানো চলবে না, ভিজুক গেঞ্জি,
রিকসায় যাওয়া হলো না, নিতে হলো সিএনজি...


বৃষ্টিকে নিয়ে আমার অনেক অভিযোগ...
এখনো বলিনি, বৃষ্টিকে আমি কতটা করি উপভোগ?
ভালবাসাও বদলায়, মানিনি প্রথমে,
লেগেছিল অনেক সময়...
অবশেষে দেখলাম, আমার ভালবাসারও ক্ষয় হয়,
কেবল বৃষ্টিকেই, আগের মতই,
ভালবাসি, নেই সংশয়।