জীবনের এই উত্তাল গাঙে,
আমি অতিশয় ক্ষুদ্র খড়কুটো মাত্র।
উত্তাল ঢেউ-এ হারিয়ে কূল,
আমি হাতরে ফিরি ভেসে থাকার অবলম্বন।
তার উপর ভর করেই পৌছাতে চায়,
উত্তাল এই গাঙের কিনারে।
উজান স্রোতে ভাসমান অবস্থায়,
যখনই কোন অবলম্বন সামনে আসে,
স্রোতের ঘূর্ণিপাকে তা আবার নিমিষেয় মিলিয়ে যায়।
আমি পড়েরই অতল স্রোতে,
হাতরে ফিরি পথের দিশা,
হারিয়ে ফেলি পাড়ের ফেরার আশা।
স্রোতের তোড়ে নিমিষেয় নিমজ্জিত হই অতল তলে।
আবারও ভেসে উঠি,ঝাপসা দৃষ্টিতে দেখা মেলে কোন কিছুর,
মনের মধ্যে নতুন করে আশার সঞ্চার হয়।
সাথে মনে জাগে ভয়!
আবারও যদি তা পাশ বেয়ে চলে যায়, আমাকে রেখে?
আবারও হারিয়ে যায় স্রোতের তলে,
স্রোতের তোড়ে কমতে থাকে নিজের সঞ্জীবনী শক্তি।
হটাৎ-ই ভেসে ওঠা,
ঐ যে ভেসে আসছে বড় কোন বট বৃক্ষ!
এই হবে আমার বাঁচার অবলম্বন।
বট বৃক্ষ তুমিও কি আমায় একা রেখে,
পাশ দিয়ে বয়ে চলে যাবে মোহনার টানে?
তুমিও কি দাঁড়াবে না,আমার পাশে?
আমায় বাঁচানোর শেষ আশ্রয় হয়ে,
পারবে কি বাঁচাতে? পোঁছে দিতে জীবন নদীর কিনারে।
যদি নাই পারো, তবে হোক সলীল সমাধি
এই জীবন নদীর জলরাশির বুকে!
তুমি ভিরে কোন তীরে, গড়ে নিয়ে মূল
ফুটিয়ো তোমার শত আশার ফুল।