২৫শে মার্চ গভীর রাত,
অন্ধকার শান্ত নিস্তব্ধতা চারিদিকে।
মনের মধ্যে চাপা উত্তেজনা নিয়ে,
ঘুমে আচ্ছন্ন পুরো বাঙলা।
হটাৎ প্রচণ্ড শব্দ, গোলাগুলির শব্দ,
কান্নার চিৎকার, বাঁচার আর্তনাদ চারিদিকে।
গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন বাঙালীর ঘুম ভেঙে যায়,
বুঝতে চেষ্টা করে এত শব্দ কিসের?
সবকিছু বুঝে উঠতে তাদের খুব একটা সময় লাগে না,
খুব সহজেই বুঝে যায় তারা, কিসের শব্দ।
বাঙলা মায়ের বুকে হামলে পরেছে পাক হায়েনার দল,
নির্বিচারে হত্যা করছে বাঙ্গালীদের।
নারী, পুরুষ, শিশু বাদ যাচ্ছে না কেউই,
জ্বালিয়ে দিচ্ছে ঘর বাড়ী।
কোন কিছুরই রেহাই নেই হানাদারদের হাত থেকে,
শুরু হয় বাঙালী নিধন যজ্ঞের।
শহরের এক প্রন্ত থেকে আরেক প্রান্তে
খবর পোঁছানোর আগেই হত্যা করা হয় লক্ষ বাঙালীকে।
এ খবর পোঁছে গেল বাঙালীর কাণ্ডারির কানে,
তিনি ক্ষণকাল দেরি না করে,
ঘোষণা করলেন বাঙলার স্বাধীনতা,
প্রতিরোধের, পাল্টা জবাব দেওয়ার।
তন্দ্রাচ্ছন্ন বাঙালী জেগে উঠলো,
প্রতিরোধ গড়ে তুললো পাক হানাদারদের বিরুদ্ধে।
যে যেখানে ছিল, যার যা কিছু ছিল তা নিয়েই।
জয় বাঙলা বলে শুরু হল বাঙলা মাকে রক্ষার যুদ্ধ,
বাঙলার স্বাধীনতার যুদ্ধ।
সময়ের সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়তে থাকে হায়েনার তাণ্ডব
বাড়তে থাকে লাশের মিছিল,
ছেলে,বুড়ো বালিকার লাশ,বাঙ্গালীর লাশ।
ধিরে ধিরে ছড়িয়ে পড়লো শহর,গ্রাম পুরো বাঙলা জুড়ে,
পুরো বাঙলা তখন মৃত্যুপূরী,
ঘর জ্বলছে,জ্বলছে বাঙ্গালীর শরীর।
ঘর ছেড়ে নিরাপদ আশ্রয় এর খোঁজে ভিতু মা বুকে সন্তান জড়িয়ে,
পাথেয় মাত্র গায়ে জড়ানো শাড়ীখানা সঙ্গে ক’মুঠো খাওয়ার।
হিতাহিত জ্ঞান শুন্য ছোটাছুটি নিরাপদ আশ্রয় এর খোঁজে,
ভয়ার্ত মনে শরীরে জুড়ে বয়ে চলে তৃষ্ণার উন্মাদ ঢেউ।
নিজের জীবনের মায়া ত্যাগ করে,
সন্তানের জন্য নিরাপদ আশ্রয় ভুলিয়ে দেই সবকিছু।
দিনে দিনে বাড়তে থাকে যুদ্ধের বয়স,
সঙ্গে পাল্লা দিয়ে চলে বীর বাঙ্গালীর
নিজেদের সংগঠিত করে পাল্টা হাঘাত হানার।
বাশের লাঠি, কাস্তে কোদাল হাতে,
অস্ত্র সুসজ্জিত সামরিক জানের সামনে ঝাপিয়ে পড়ে
বাঙলার কৃষক, শ্রমিক, ছাত্র, জনতার মুক্তিকামী দল,
বাঙলীর কাছে আজ মায়ের মুক্তি জীবনের মূল্যের চেয়ে বড়।
পাল্টা আঘাতে পদে পদে হোঁচট খেয়ে দিশেহারা
পাকহানাদার হায়েনার দল, সঙ্গী এদেশীয় দোসররা।


(অসমাপ্ত… বাঁকিটুকু দ্রুতই শেষ হবে ইনশাল্লাহ)