তোমাকে দেখার তৃষ্ণা মিটে না
তোমায় যতই দেখি ততই তৃষ্ণা বেড়ে যায়!
তুমি কি আমার তৃষ্ণা মিটাবে
হে প্রিয়!
চঞ্চল মনটাকে কি শান্তি দেবে।


তুমি আমার চক্ষুর ঘুম কেড়ে নিয়েছ
প্রতি রজনী এপাশ-ওপাশ করে কাটাই!
চক্ষু নিমীলিত করতেই তোমার ফুলকি হাসি
ভেসে ওঠে,তোমার আরক্তিম ওষ্ঠ
চুম্বন করতে আওভান জানায়।


আমি কাঁচুমাচু করে নিঃতেজ হয়ে
শুয়ে থাকার ভান করি,
তোমার কাজ্জল রাঙ্গানো চক্ষু
বারংবার কামনার দৃষ্টিতে অবলোকন করে
কটুকাটব্য বলতে তোমার কন্ঠনালী প্রস্তুত হয়।


কিন্তু, ভালবাসার মূর্ছনায় তোমার মন বলতে ইতস্ততঃ করে
ইত্যবসরে আমি আবার ঘুমপরী কোলে শুইতে মনস্থির করি!
কিন্তু,ঘুম হয় না
তোমার হাতের কঙ্কণ ভালবাসার বীণা বাজায়?


আমি আবার জেগে ওঠি
তোমার কন্ঠহারের চিকনায়ে চক্ষু ঝলসে ওঠে।
মনে আবার ভালবাসা কর্ষণ করে,
আঁজলা পেতে তোমার কাছে অনুকম্পা চেয়েছিলাম কিন্তু তুমি দাও নি!
শারীরিক কৃচ্ছ্রতায় নুয়ে পড়ি।


চক্ষু নিমীলিত করতেই কহ্লারময় তোমার গালের টোলের স্মৃতি মনে পড়ে,আমি তখন খিল খিল করে হাসি।
মনে প্রেম কেতন পতপত করে ওঠে?
ভালবাসার বেগ বেড়ে যায়
হাসতে হাসতে চোখ বিবর্ণ হয়ে আসে।


আবার ,শুইতে বালিশে মাথা রাখি...
তোমার চূর্ণ কুন্তল ললাট ছুয়ে দিচ্ছে
ভেবিছে মার্জনা
করেছ কিন্তু না! না!
শরীরে শিহরণ জাগালো
তোমার মাজা নৃত্য দেখালো?
.
হঠাৎ তোমার কলকন্ঠ স্বর
একাদিক্রমে কর্ণে আঘাত করতে লাগল
এই ছেলে ঘুম আস না আমায় ভালবাসা দাও!
কে কে বলে চেচিয়ে উঠলাম।
কিন্তু,কোথাও কেউ নেই
পশ্চিম গগন থেকে ফজরের আযান ভেসে আসতে লাগল?