সুর্যাস্ত পর্যন্ত একটি ক্লান্ত দিন আলাদা করা কঠিন।
আমার সাথে ধীর পায়ে হাঁটে সমস্ত আমার পরিশ্রান্ত সময়।
একটু একটু আমার দগ্দ মুহুর্ত কেটে যায় পথে পথে, রমনার কাছাকাছি হলে অলস ভালবাসার খন্ডিত অংশ দেখে সুর ওঠানোর চেষ্টায় আমার শুষ্ক কন্ঠে অস্ফুট শব্দ মাত্র।
তাতে সুর নেই, আবৃত্তির মত কিছু শব্দ চয়ন হতে পারে।
যত সুর যন্ত্র, যত মোহ মন্ত্র, আমার মৃতপুরী সংগীত বিশ্ববিদ্যালয়ের হোস্টেলে।
আর ছায়াহীন তীর্যক সুর্যের রৌদ্রস্নাত কাষ্ট সুর কন্ঠে তখন।
একটি নীরব কষ্ট বয়ে নিয়ে চলি যা বলা হয় নি কাউকে!
সুরের জন্য রাখা ছিল। সুর যন্ত্রে সাধা ছিল!
যখন আঙ্গুলের স্পর্ষে জীবন্ত হতে পারতো সপ্তসুর।
এ সময় গোটা দিনের অক্ষম দেহে টলায়মান পদক্ষেপে তার ছেড়া ইন্দ্রিয়ে হোস্টেলের লোহার গেট ঠেলে প্রবেশ করি তখন মধ্যরাত কাছাকাছি।
সতীর্থদের সব সাধাসুর মিয়িয়ে গেছে এই নীরব রাত্রীর সাথে ।
চক্ষু মুদে কোথাও প্রতিধ্বনিত হতে শুনলাম না
তুমি তাই গো -------,
বুল বুল নীরব নার্গিস------ একটুকু ছোয়া লাগে---!
তীব্র শিতের কুয়াশাচ্ছন্ন ক্যম্পাস কোথাও কেউ জেগে নেই।
আমি সিড়ি ভেঙ্গে ভেঙ্গে আমার কক্ষের প্রবেশ দ্বারে,
সুর যন্ত্রগুলো যেন কি এক অভিমানে নিরব নিশ্চুপ!
তখন আমিও পৌঁছে গেছি অবিন্যস্ত আমার নিদ্রাবগহনে।
আবছা আলোয় ওদের আর চোখে পড়ে না। সুর -যন্ত্র গুলো গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন!
ওদের উপর আমার অভিমানের নেই আজ যখন কোন স্পর্ষ,  
সব সুর যন্ত্রে আজ নয় মান ভাঙ্গানো পরশ ।
আজও তেমনই জীবন যুদ্ধের কাছে পরাজিত থেকে বাঁচি যেন বে -সুর যন্ত্রে।