আমার কবিতাগুলো আকারে বেশ বড়সর হয়। ছোট কবিতা না লেখার কারণ, সম্ভবত শিরোনাম।
(শিরোনামহীন কবিতা কেমন যেন ন্যাড়া ন্যাড়া লাগে!)
তাই অনেক সময় বিশুদ্ধ অনুভূতিগুলোও হারিয়ে যায়, শুধুমাত্র ক্ষুদ্র কায়ার অপরাধে!
ভাবছি,এখন থেকে তাকে আর হারাতে না দিয়ে "চিরকুট" শিরোনামে বেঁধে ফেলবো!
কয়েকটা চিরকুট এখানে পোষ্ট করলাম;
কবি বন্ধুরা, বলুন তো- কেমন হলো পদক্ষেপটা?
...........................................................................


কেমনে বলিস,
ভালোবাসিস!
বাসলে ভালো,
চাঁদের আলো,
দু'হাত ভরে আমায় দিতি!
কেনই তবে,
এমনি ভাবে-
একলা ঘরে,
চাঁদের তরে,
আমার লেখা করুন চিঠি!


...................................চিরকুট-১


তোর আর আমার দিনরাত্রি
একই সুতোয় বাঁধা,
সবুজ সবুজ ভাবনা ছিলো
অবুঝ ছিলো দ্বিধা!
একে একে দীর্ঘপথে-
ভরলো স্মৃতির খাতা,
হঠাৎই তোর স্বেচ্ছা-বিদায়
আমার নিরবতা!


............................."চিরকুট-২"


পড়ন্ত এই বিকেলে,
ছেঁড়া ছেঁড়া মেঘ ফেলে,
লাল আলো চোখে মেখে,
খুঁজে ফিরি জীবনকে।


নগরের ব্যস্ততায়,
একা একা ধূলিময়,
ফুসফুসে বিষ রেখে,
খুঁজে ফিরি জীবনকে!


"জীবন, তুমি কই?"


................................"চিরকুট-৩"


যখন অবসন্ন নষ্টালজিয়ারা ঘিরে ধরে,
কিংবা অদ্ভুত বর্তমান-
নির্বোধ যন্ত্রনাদের উল্লাসে জর্জরিত হই!
জানালার গ্রিলে হাত রেখে,
ছলছল চোখে আমিও বলতে পারি-
একটু একা থাকতে চাই!


.............................চিরকুট-৪


মন-কান্না সবাই শুনতে পায়না,
তুই কী সবাই- গোত্রীয় নস্ִ!


আচ্ছন্ন অনুভূতিরা অপ্রকাশ্যই থেকে যায়,
কেবল মাঝরাতে ঘুম ভাঙে তাদের তান্ডব-নৃত্যে!
বুকের বা পাশে হৃদপিন্ডের ছটফটানি নিয়ে-
নিজেকেই তখন অ্যাটলাস মনে হয়!
নাপা এক্স্ট্রা কিংবা এক্স্টেনডেট-
কে এই যন্ত্রণা-নাশক?


..................................চিরকুট-৫



**********************************


***একটি কনফেশনঃ
মাথায় আঘাতের কারণে কয়েকদিন খুব অসুস্থ ছিলাম, তার উপর "মেডিকেল" নামক জেলখানায় "পরীক্ষা" নামক সশ্রম কারাদন্ডে দন্ডিত আছি সপ্তাহ জুড়ে।
নিয়মিত তাই কবিতা পোষ্ট করা হচ্ছেনা ব্লগে, তবে ফেবুতে বসা হয় টুকটাক।
ব্লগে নিয়মিত হওয়ার চেষ্টা করবো।
আর, এটা আমার ফেসবুক আইডি-
https://www.facebook.com/falguni.alam
কবি বন্ধুরা,যারা ফেসবুক ইউজ করেন- আমাকে বন্ধু তালিকায় রাখলে ধন্য হবো!