যদি বেঁচে থাকা শুধুই  হয় নিঃশ্বাস নেয়া …
তবে  আমরা কি বেঁচে আছি?
দেখিনা মনের দুয়ারে দিয়ে হানা।


ঠিক- বেঠিক আর উচিত -অনুচিত
সব লিখা পড়ায় শেষ,
তবে আজ কেন এ কঠিন প্রশ্ন
বিবেককে  প্রতিনিয়ত করছে নিস্তেজ?


কি বলবো  … না বলবো
তাতে কার কি রিঅ্যাকশন,
তাল বেতালের মাঝে পড়ে
নষ্ট হয়েছে কনফিডেন্স ।


মনের জোরে যতই বলি
আই ক্যান ডু দ্যাট,
মেকআপ আর গেটআপে পিছিয়ে গেলে
প্রমোশনে পড়বে  ফুলস্টপ।


বন্ধুমহল বিশাল বড়
ক্লাসিফিকেশনের নেই বিচার,
বিবিসি আর নেটফ্লিক্স না দেখলে
ফেসবুকে কমেন্ট করাটাই আজ বেকার।


তাতেও কি আর থেমে থাকে
অন্য সব সোশ্যাল মিডিয়া ?
ঠিকমত কমেন্ট না দিলে
বলবে আমায় চিড়িয়া।


শেষ হয়নি এখানেই শোনো
রাধুনীরা গেল কই?
বন্ধু -বান্ধবী সবাই আজ
সিগ্নেচার ডিশ নিয়ে করে হইচই।
 


বিবেকের টানাপোড়নে
ভাবে মন … কি  রান্না করা যায় ?
পুরনো ছবি কিছু কপি  করে
নতুন বলে চালিয়ে দেয়াই যায়।


অফিসিয়াল ডিনারে যদি
হাসিমুখে দেখা যায়,
ট্রেডমার্ক হয়ে যাবে
"ওর সাথে চান্স নেয়া যায়"।
 


গম্ভীর হলে সেথায়
নেটওয়ার্কিং এর ছিড়বে তার,
এক ঘরে করে দেবে
সুইসাইডের সব পথ ক্লিয়ার।


পার্টির গসিপ চলতে থাকবে সারা পথে ও বাড়ীতে
স্বামী -স্ত্রী এক পর্যায়ে বলে উঠবে-
ডোন্ট ইউ  থিংক - ইঊ এক্ট ডিফারেন্টলী টুডে।
সন্দেহ কেড়ে নেবে অযথাই ঘুম দুচোখের
দূরত্বরা গড়বে তুলে মাঝখানে পাহাড়ের।


পাশাপাশি বসে থাকলেও
টেক্সটে কথা বলা এখন ভীষণ ট্রেনডি,
গোপন কথোপকথনে তাই
মহব্বতের নাম রাখা হয় ম্যানডি।
 


টেক্সট-এর উত্তরে যদি কখনো
ভুল ইমোজি পড়ে যায়,
অপরপক্ষ তখন এ নিয়ে
পড়বে  এক বিশাল গবেষণায়।
 


ওয়ার্ক ফ্রম হোম বলে
 সঙ্গী হয়েছে  ফোন আর ল্যাপটপ …
 কিছুক্ষণ পরপর অকারণে
 সইতে হয় অযথা ইন্টেরাপশন।
 


ফ্রাস্টেশনের চরমে পৌঁছে
কম্পিউটারে দেখি ডার্টি পিকচার,
গসিপ করার সময় হলে
অন্যকে বলি মেন্টাল ডিসঅর্ডার।


এতো কিছু চিন্তা করে
মস্তিষ্ক নাইবা নিলোএক্সট্রা পেইন,
ছোট ছোট মুহূর্ততেই
লুকিয়ে আছে লাইফের এনজয়মেন্ট।


পেন্ডেমিক সিচুয়েশনে
থমকে গেছে জীবনের সব লালসা,
অযথা বিবেককে প্রশ্ন করে
হারিওনা নিজের উপর ভরসা।
 


স্টেটাস রেডি করো আগামীকালের জন্য,
লাইক দেখে তুমিই হবে নিজের প্রতি ধন্য।


"বাঁচো এবং অন্য কে বাঁচতে দাও"