ভোটের আগে প্রার্থী আসেন জমাতে খাতির,
কতশত প্রতিশ্রুতি! আশা উন্নতির।
একখানা ভোটের জন্য হাতটি ধরেন শেষে-
“আমি তো আপনারই লোক”, বলেন মুচকি হেসে।
এটা দেবেন, সেটা দেবেন; বুলির নেই তো শেষ,
ভোটে জয়ী হলে নাকি ভরিয়ে দেবেন দেশ!
উন্নয়নের জোয়ার তখন বইবে দেশটা জুড়ে,
মুখে এসব বুলি ফোটান, দুয়ার ঘুরে ঘুরে।
চরিত্রহীন লোকটাও সেদিন হয়ে যান পবিত্র,
সবার সাথেই খাতির জমান, শত্রু হোক বা মিত্র।
নানা ঢঙে প্রার্থীরা সব আসেন বেঁধে জোট,
উদ্দেশ্যটা সবারই এক - “মহামূল্য ভোট”।
হাজারো ছলে বলে জয়ী হলে শেষে,
ধরা পড়েন সম্পূর্ণ এক ভিন্ন রকম বেশে।
জনসংবর্ধনায় শত আশার কথা বলে,
গম-চাল-ত্রাণেই নেতার উদ্দেশ্যটা টলে।
ক্ষমতার পাঁচটি বছর থাকেন দুধে ভাতে,
সারা বছর ব্যস্ত তিনি পকেট ভরাতে।
দাপুটে এই নেতার জন্যে প্রশাসনের ভয়,
সহজ সরল মানুষগুলো অনাহারেই রয়।