তুমি, হ্যাঁ তুমি -
পরদেশী, তোমার সংসার
অথচ সে সংসারে আমার অধিকার নেই কোনোও।

যে ছাদের তলায়, তৃপ্তির ঢেকুর তোলো
চোখে পরম শান্তি নিয়ে ঘুমের দেশে যাও,
সেখানে আমার ঠাঁই হয়নি।

তোমার গলির মোড়ের অন্ধকারে,
তোমার ঘরের,বারান্দার আলো এসে জড়ো হয়।

আমি সে আঁধার পেরিয়ে ,
আলো গায়ে মেখে নিতে পারিনা।

তোমার কাছে,  হেঁটে চলা রাস্তায়
তোমার পাশে অন্য কারোর ছায়া দেখি।
অথচ সে,ছায়ায় আমার থাকার কথা ছিলো।

আমার ছায়া থেমে আছে,
আমার ছায়া এগোতে পারে না -
তোমার নিষেধাজ্ঞা, বেঁধে দেওয়া অলিখিত সীমানা।

তোমার চিঠির খামে ,
এখন অন্য ঠিকানা বসে।
আমি ডাকঘরের সামনে বসে দেখি সেসব।
ভুলভাল বানানে ,
এখন তোমাকে আবিষ্কারের বৃথা চেষ্টায় মত্ত।

আমার বাসার পোস্টবক্সে,
এক বিমূর্ত অপেক্ষার দাপট চলে।
আমি বাকরুদ্ধ, শব্দ শুনি -
ঝড়ো বাতাসে নড়েচড়ে বসে শূন্য পোস্টবক্স।

যে বাড়িতে সংসার পেতেছ তুমি,
সে বাড়ির সামনে  চায়ের দোকানে -
তোমার নামে অভিযোগ মিশিয়ে, দু কাপ চা'য়ে
এখনও সকাল শুরু হয় আমার।

তোমার ফেলে যাওয়া হেঁচকি,
আমার ভেতরের নিঃশ্বাস আটকে দেয় কখনও কখনও।
কড়া ঝালের ঝালমুড়ির ঠোঙা,
উড়ে এসে চোখকে ঝাঁঝালো করে দিয়ে যায়।

নিজের হাতে চুল এলোমেলো করে দিতে,
তাই চুলটা আর গুছিয়ে রাখা হয় না।
মাঝে মাঝে বাতাস এসে কিঞ্চিৎ উড়িয়ে দিতে চায়,
তবে তোমার মতো তছনছ করতে আর পারে কই?

তুমি এখন অন্যপ্রেমী,
অন্যর বুকে আঁকিবুঁকি করো আনমনে।
আমি ভেজা রুমালে শীতলতা খুঁজি,
রঙ হালকা হয়ে আসে, ধুসর রোদের আলোতে।

আমি ছেড়ে যাচ্ছি,
তোমার বাড়ির সামনে বসে থাকা এক বীভৎস প্রেমিককে।

সে প্রেমিক সত্তা,
সে বাউণ্ডুলে, উন্মাদ কবি -
তোমার মঙ্গল কামনা করে রোজ।

তোমার সংসারে আমি ঠাঁই পাই নি,
আমি তোমার অস্তিত্বের সাথে ঘর বেঁধেছি।
যেখানে আমি কোনো প্রত্যাশা রাখিনা আর।
এই আমি,আমার তুমি - আমাদের সংসার।