প্রভুর চো‌খে চোখ রে‌খো না।
প্রভু তা চান না।
আ‌মি রে‌খে‌ছিলাম। একবার নয়, দুইবার।
প্রথমবার তা‌কি‌য়ে‌ছিলাম প্রা‌প্তির কৃতজ্ঞতায় মাথা নুই‌য়ে
লাজুক হা‌সি হে‌সে আড়‌চো‌খে।
‌কি মায়াময় চোখ !
প্রভু খু‌শি হ‌য়ে বল‌লেন, "নাইস এন্ড হাম্বল্  
ইউ হ্যাভ অ্যা লং ফিউচার অ্যা‌হেড।"
অত নাইস এন্ড হাম্বল্ হ‌য়ো না।
আ‌মিও হই‌নি। তা‌তে অবশ্য যা হওয়ার তাই হ‌লো।
‌চোখ দেখলাম দ্বিতীয়বার। লাল। ক্ষমাহীন। প্র‌তি‌শোধপরায়ণ। প্রভুর নীল র‌ক্তের সন্তা‌নের
কুকী‌র্তির প্র‌তিবাদ ক‌রে‌ছিলাম। ওটাই  ছি‌লো অপরাধ।
‌দেখলাম লাল চোখ। জুট‌লো শা‌স্তি। সাম‌নের বেঞ্চ আর আমার জন্য নাই। হ‌য়ে গেলাম একাকী লাস্ট বেঞ্চার। অন্যরাও আর কথা ব‌লে না।
প্রভু আবার কি ভা‌বে, এই ভ‌য়ে।
এ‌কে একে সব দরজা বন্ধ হ‌য়ে এ‌লো আমার জন্য।
‌চো‌খের সাম‌নে দে‌খি প্রভুর আস্থাভাজ‌নের মামুলি কাজও পুরস্কৃত। আর আমার কাজ ?
তা দেখার সময় প্রভুর নেই।
প্রভুর সত্ত্বা এক। কিন্তু প্রভু আবার ক‌র্পো‌রেট। অ‌নেকগু‌লো কাজ দি‌তে পারা
সামন্ত প্রভু এক‌জোট হ‌য়ে হয় "প্রভু"।
‌তো আমার কাজ নেই, আ‌মি একাকী লাস্ট বেঞ্চার
আমার জন্য সব দরজা বন্ধ।
‌কি কর‌বো? একটা জুয়া খেললাম। আমার যা কিছু আ‌ছে সব নি‌য়ে নামলাম প্রভুর বিরূ‌দ্ধে। দেখলাম আমার সব‌চে‌য়ে প্রিয়, সব‌চে‌য়ে বড় দুর্বলতা হ‌চ্ছে আমার জীবন। জীবন দিলাম। প্রভুর আস্থাভাজনরা বলাব‌লি শুরু ক‌রে দি‌য়ে‌ছে যে আমার মাথা ঠিক নেই,
আত্মহত্যা মহাপাপ ইত্যা‌দি ইত্যা‌দি।
‌কেন করলাম? হে আমার প্রিয় সতীর্থকূল ওটা ছি‌লো আমার তরফ থে‌কে তোম‌া‌দের জন্য একটা উপহার, একটা শ‌ক্তি, একটা প্ল্যাটফর্ম। প্রভুর চাকর হ‌য়ে দীর্ঘজী‌বি হওয়া যায় কিন্তু কেন চাকর হ‌বে? প্রভুর চো‌খে  চোখ রা‌খো। গু‌ড়ি‌য়ে দাও ম‌নোপ‌লি। সৃ‌ষ্টির সম্মান কর‌তে হ‌বে। আমা‌কেও। প্রভু‌কেও। কিন্তু যুদ্ধ না জি‌তে সে সম্মান পা‌বে না। তাই রসদ দিলাম যু‌দ্ধের। আমার জীবনটা। গুডলাক কম‌রেডস।