এই ধরাতলে,এই ধরালগ্নে,
কেন এত বিভক্তি,কেন এত বিভাজন?
মানুষ আর পশুপাখি যখন একসাথে
করত বসবাস,
ছিল কি তাদের মধ্যে এত আয়োজন?
জটিলতার আভাস?পুনর্বাসন?
মানুষ শ্রেষ্ঠ এ কথাটা সত্য বলে মানি,
মানুষ শ্রেষ্ঠ এ কথাটা সবাই আমরা জানি,
কিন্তু কোথা থেকে আসল এই সম্ভাবনা?
কোথা থেকে স্থির হলো এ ধারণা?
মানুষ তার শ্রেষ্ঠত্ব প্রমানের জন্য পশুকে নির্বাচন করেছে,
পশুর সাথে লড়াই করে নিজেকে মহান দাবী করেছে!
পশুকে খাঁচায় পুরে,পশুকে পোষ মানিয়ে,পশুকে শৃঙখলাবদ্ধ
করে মানুষ নিয়ম বানিয়েছে,
প্রকৃতির একটি অংশকে দাবিয়ে রেখে তারা অপর অংশকে
অন্ধকারে রেখেছে,
পশুকে হারিয়েই মানুষ কি ক্ষান্ত দেবে?
পশুকে পরাজিত করেই মানুষ কি শান্ত হবে?
পশুকে ঘরে পুষে,প্রহার করে,খাটিয়ে মনুষ্যকুল
কি সন্তুষ্ট হবে?
পশুকে ধরে রেখে তার থেকে দুগ্ধ, মাংস,জ্বালানি,
চামড়া নিয়েও মানুষ কি বসে থাকবে?
তাহলে উদ্ভাবনির কি হবে? শেষ বা সমাপনী?
না না না,মানুষ পশুর হাড় থেকে অস্ত্র বানিয়ে
যে দক্ষতা অর্জন করেছে তা অস্থিতে মজ্জায়
ছাপ মেরে নিয়েছে,দমবার পাত্র নয় সে!
তাই পশুর পাঠ চুকিয়ে এখন সে আপন
ভাইয়ের পিছে ছুটেছে!
হাবিলের পিছে কাবিল!
হায়রে সহোদর!হায়রে ভাতৃকুল!
হাবিল ছিল হাভাগোভা,
সুন্দরী ভগ্নী জুটেছিল তার পোড়াকপাল হয়েছিল পূর্ণিমা,
তাতেই কুৎসিত কাবিলের মনে জাগল অমাবস্যার লুকানো নিপতিত গহীন ধারা,
হাবিল মরেছে,কাবিল কখনও মরে নি!
কাবিলের যত বংশধারা!
গ্ল্যাডিয়েটরের যুগে মানুষ আর পশুর মধ্যে যুদ্ধ হতো বাধাই,
এখন মানুষে মানুষে রনাঙ্গন,দেখ বাজছে যুদ্ধের সানাই,
কে নাড়ছে কল?কে করছে ধানাই পানাই?
কে দেখতে আসবে মানুষে-মানুষে লড়াই?!
ইতিহাস সবসময় সরগরম ছিল,
হোক সে পাক-ভারতের যুদ্ধ কিবা একাত্তুরের মুক্তিযুদ্ধ,
ইতিহাস সবসময় বোমা বারুদময় ছিল,
হোক না সে ভিয়েতনামের কিংবা ইয়ামেনের যুদ্ধ,
ইতিহাস বলে ধবংসের কথা,
হোক বাবরী মসজিদ কিংবা রামু মন্দির পুড়ে
হাজারবার ছাঁই,
ইতিহাস বলে ধর্ষণের কথা,
কি বাঙালি কি বিলেতি,কিবা ক্রুসেডের নারী,
ইতিহাস বলে নি মাগদালিনের কথা,
ইতিহাস বলে নি যিশুর স্ত্রী কন্যার কথা,
ইতিহাস আরও অনেক কিছু লুকানোর মত
লুকিয়ে রেখেছে আদমের প্রথম স্ত্রীর কথা,
হাওয়া নয় সে,হাওয়াকে হাওয়ায় উড়িয়ে দাও,
তার আগেও ছিল এক সত্যের জমিন!
ইতিহাস আরও বলবে না বিভিন্ন চুক্তির কথা,
মৌলবাদি চুক্তির কথা হয়তবা প্রয়োজন উইকিলিক্স কিংবা পানামা নথিপত্র ফাঁসের মত অতীব জরুরি কেলেঙ্কারি যাতে ঠেকানো যায় আরেকটা মোসাদ
এর উত্থান কিংবা
তোমাকে স্লোডেন হয়ে জন্মাতে হবে এবং তুমিও
বাঁকুনিন এবং মার্ক্স দুই সত্তাবান প্রতিদ্বন্দ্বীর মত নির্বাসিত হবে,সাইবেরিয়ার কারাদন্ড ভোগ করবে!
বলো তাতে তুমি হবে কি রাজি হবে?
আর কত হিংস্র লড়াইয়ে নিজেকে বিকৃত করবে?
আর কত অযথাই এই বিবেকের খরছা করবে?
আর কতদিন পশুর মত আচরণ করবে?
পশু নয়,মানুষও নয়,এবার সেই পুরানো কিন্তু লুপ্ত অধুনা সামন্তবাদ কি আধা সামন্তবাদ,সাম্রাজ্যবাদ কি লুটতন্ত্রকে বিলুপ্ত করতে হবে!