আমার এই অনুভুতি গুলোকে কাজ করতে দাও,
সচল রাখো,আমি হাত দিয়ে নয়,অনুভুতি দিয়ে তোমাকে ছুঁব,
বলো এভাবে আর কেউ কি তোমাকে ছুঁয়েছে কভু?
বলো আধ্যাত্মবাদে কেউ প্রেম করেছে কিনা
চেতনায়,মন হতে প্রাণে?
দূর হতে আরো দূরে,
তুমি দূরেই থাক,
কাছে আসলে অনুভুতি মরে যায়,
আর আমি তোমাকে নিয়ে ভাববার অনুভুতিগুলো
হারাতে চাই না,
বিনষ্ট হতে দিতে পারি না,
তুমি না থেকেও সবখানে আছো,
আমি তোমাকে স্পষ্ট দেখতে পাই,
আমি তোমার কথাই বলি,
আমি তোমার জন্য পঙক্তির পর পঙক্তি লিখি,
কারন তোমার ধারনাই আমাকে শক্তিশালী করে,
আর কি চাই?!
তুমি আমার হও,আমার রও,
তা কখনও চাই না,
তুমি আমার উপরে ধাবমান হও,
তা আমি কখনো হতে দিতে পারি না,
আমার ভেতরে নয় আমার মধ্যে প্রবেশ করো,
আমার অবিনশ্বর মনের দেয়ালে ফুটো করে ডুকে
পড়ো,খুঁজ না কৃত্তিম গর্ত,যা সবসময়ই খোলা থাকে,
তুমি বরং বন্ধ দুয়ার অবধি পৌছাও,
যেখানে কেউ পৌছাতে পারে না আর পৌছাতে
পারলেও কেউ থাকতে পারে না,
কারন তারা স্থায়ীত্বে বিশ্বাসী আর বিশ্বাসই তাদের অবিশ্বাসী করে,
তুমি আজন্ম অবিশ্বাসী রও,
আমি তোমার'পরে স্তবকের পরে স্তবক রচনা করি,
কঠিন কুঠুরিতে সোপান খুঁজতে যেও না,অন্ধ হয়ে যাবে,
অন্ধকারে থাকলে অন্ধই ত হবে!
কেন গুহায় ডুকতে চাও?
কেন আলোর পথে আধার ঢুঁঢে দেখ না?
কেন আধারের পাদে প্রদীপ খুঁজতে যাও না?
চেতনায় লীন হও না কেন?
আসলে চেতনা কি তুমি তাই বুঝ না,
নিজেকেই যখন চেন না আমাকেই তোমার চেনাতে
হয়,আমাকে কি চিনবে?
আমার মধ্যে কিভাবে প্রবেশ করবে?
আমার উপর তোমাকে চড়তে দেব না!
কিন্তু তুমিও পর্বত হও নি যে তোমার উপরে করব অবগাহন,
এতটা শক্তিশালী নও তুমি,আমার ভার নিতে পারবে না,
আর তাই আমিও ভার ছেড়ে দেই না,দেব না,
তাহলে মেরুর সমকরণ কিভাবে হবে?
কিভাবে আমরা আধ্যাত্মিকতার চর্চা করব?
কিভাবে একে অপরের মধ্যে লীণ হবো?
তুমি বরং উপর থেকে নিচে যাও,
চূড়া হতে ফুলেল বাগানের লতাগুল্ম বেয়ে ঝর্ণায়
নাইতে নামো,
তোমার তো দেখি স্নানের ইচ্ছাই নেই!
তুমি বড় অপবিত্র!
অথবা খুব সরল যে কিছুই জানো না!
নেই তোমার কোনো যুদ্ধ কৌশল অথচ আমি
যে লড়তে এসেছিলাম,
দ্বন্দযুদ্ধে তোমাকে পরাজিত করতে অথবা তোমার
কাছে পরাজিত হতে চেয়েছিলাম!