যদি হঠাৎ সামনে দাঁড়াই
চিনতে পারবে


আমি পারবো
স্মৃতির সমুদ্র থেকে একটা একটা করে কুড়াবো পারিজাত
তোমার ঘামের গন্ধ শুকে শুকে পৌঁছে যাবো পোতাশ্রয়ে
যেমন শিকারি কুকুর কিংবা শ্রান্ত নাবিক
যখন অবিশ্রাম ঢেউগুলো আছড়ে পরবে তীরে
মুঠো মুঠো কুড়াবো ঝিনুক, শুক্তির বুকের মুক্তো


আচ্ছা তুমি কি এখনো পড়ো বেলফুল
সর্বগ্রাসী খোঁপায়
আমি জানি মুুুুক্তোর মালা তোমার চাই না
তোমার চাই বেলফুল
নরম শিউলির মতো হেঁটে যাবে
কাশবনের ওপাড়ে, রুপালি বালিতে
আঁজলা ভরে কুড়াবে তুমি সোনালি স্বপ্ন


যখন সন্ধ্যা নামবে
গোধূলির রক্তিম আলোয় স্নান সেরে ফিরবে তুমি
হাতে সোনালি চিরকুট, যক্ষের ধন
ওখানেই তোমার প্রাণ ভোমরা, আমি জানি
তোমার কালো চোখে দেখেছি উদ্দাম বন্যা
ঝিরি ঝিরি চিরল পাতার কম্পন


যদি সামনে দাঁড়াই
চিনতে পারবে


বুকপকেটে লাল বই
গোটানো আস্তিন, কাঁধ ছেঁড়া
কপালের ঠিক মধ্যিখানে
জন্মের কলঙ্ক
শরীরে ঘামের উৎকট গন্ধ
কতোদিন আচর কাটিনি সিঁথিতে


তোমার মনে আছে
ভাগ্যলেখা বদলে দেবে বলে কেটেছিলে হস্তরেখা
সেখানে আজ জীবন্ত কুমীর বাস করে
খেলা করে ভাগ্য নিয়ে, প্রতি রাতে
একান্তে, যখন ঘুমায় পৃথিবী


তুমি বলতে দেখো একদিন
আমিই হবো ভাগ্যলেখা
বিন্দু থেকে বৃত্ত গড়বো আমি তুড়ি মেরে
তুমি হবে কেন্দ্র, সৌরবিন্দু
মনে পড়ে? অলস দুপুরে


যদি কখনো সামনে দাঁড়াই
চিনতে পারবে