হেঁটে বেড়াই সোলিং রাস্তার অলিগলি
পেছন থেকে ডাকলো কেউ চল খেলি,
দলবেঁধে ছুট দিলাম যেই সবে,
বুঝে নিলাম আমি নেই আর শৈশবে।


ঈদের চাঁদ দেখি যখন দূর আকাশে
নতুন জামা স্বপ্ন হয়ে
জড়িয়ে নিত বুক মাঝে,
সেই অমলিন শত শত রঙিন স্বপণ
মনে মনে করি তাকে খুব যতন।


অট্টালিকার ছড়াছড়ি আজ যখন,
কয়েদি ভাব জাগে মনে এখন তখন,
কাঁচা পাকা ঘরগুলোই বেহশত সমান
পাখির মত মনটা তার বড় প্রমাণ,
পাড়ার খালা ছিল সবাই মায়ের মতন,
মজার ছিল ঈদের খাবার আর ভ্রমন।
বারবার আমি হারিয়ে যাই  একাল থেকে সেকাল,
মনে পড়ে এখন শুধু পুরনো সব খেয়াল,
দোয়েল পাখির নোটে পেতাম ঈদের সালামি,
ছোট্ট ঝোলার জন্য সে তো ভীষণ রকম দামি।


সেলফি ছাড়া স্মৃতির খাতা উঠতো ভরে মনে,
সেসব স্মৃতি এখনো তাই ভীষণ চনমনে।
হারিয়ে যেতাম কোথায় কোথায়
তার হিসাব কে রাখে,
মুঠোফোনের নেশাগুলো ছিল না কারো চোখে,
কেবল কেন স্মৃতির পাখি আজকে আমায় ডাকে?
ছোট বেলার ঈদের খেয়াল জমা বাঁকে বাঁকে।