আমি তাকে চিনতাম,
সে ছিলো অত্যন্ত সুখী একজন মানুষ;
পাখির গানে হতো তার প্রভাতের শুরু,
এক পেয়ালা চা, একটি শুকনো রুটি-
দ্বি'প্রহরে সে চোখ বুজে রোদ্দুরের ঘ্রাণ নিতো,
দুপুরগুলো কখনোই তার শ্রান্তিতে যেতো না।
আমি তাকে চিনতাম,
রোজ বিকেলে সে ছুটে চলে যেতো বেলুয়ার তীরে;
সাদা আলোর লুকোচুরি খেলা দেখে- প্রসন্ন হতো তার মুখ,
গোধূলী ছিলো তার প্রেয়সীর চিবুকের তিল,
যে তিলক ফোঁটা না ছুঁয়ে দিলে তার সন্ধ্যে হতো না।
আমি তাকে চিনতাম,
সাঁঝ পেরোতেই নীড়ে ফেরা পাখিদের সাথে-
সেও ফিরে আসতো আপন নিবাসে;
দাওয়ায় বসে অবাধ জোছনায় করে নিতো স্নান,
মধ্যরাতে মৃত্যুপাখির ডাকে মগজে তার-
তরুর মতো বেড়ে উঠতো কিছু দুরূহ দ্বিধা,
সে দ্বিধাটুকু যেন তার চিরচেনা সুখের মতো না।
আমি যাকে চিনতাম,
সে ছিলো অত্যন্ত সুখী একজন মানুষ,
তবু এইসব সুখের অন্তরালে অন্তরে তার জমেছিলো কিছু অবিনাশী বিষাদ-
চিৎকারগুলো জানি সেখানেই আটকে যেত!
আমি যাকে চিনতাম,
সে ছিলো ভীষণ সুখে বাঁধা একশত ফানুস,
সুখের মুখোশ পরিধান করে সে- অভিনয় করে যেত অবিরত।