নদীর ধারে রঙ্গমহল- সেথায় কবির বাস,
ন'খের আঁচড়- যৌবনজ্বালা, তপ্ত দীর্ঘশ্বাস,
এক কুঠুরি তিনখান খুঁটি একধার তার ভাঙ্গা,
উঠোন কোণে শিউলি ফোঁটে, পলাশ ফুলে রাঙা;
রোজ সকালে নদীর ধারে কবি'র দেখা মেলে,
সন্ধ্যেবেলা বদ্ধ পাগল রক্ত-পাশা খেলে,
রাত্রি এলে মজ মহলে আলো দেখা যায়,
দ্বি'প্রহরে বাতুল কবি দাঁড়িয়ে থাকে ঠায়;
প্রহর শেষে বিষের জ্বালা- ছিন্নভিন্ন দেহ,
কবির সে এক গোপন ব্যথা- জানতোনা আর কেহ;
সব লুকিয়ে পাষাণ কবি করতো পাপের চাষ-
নদীর ধারে রক্তমহল- সেথায় কবির বাস!