স্বাভাবিকতায় ফিরিবার লাগি ইচ্ছাও নাই কারো,
ধর্ষিতারই লাশ দেখিতে ভীষণ উৎসাহ আগ্রহ!
হায়রে সমাজ, বিকৃত মন,
শিশুহত্যা ধর্ষণ, সবই নির্মমতা উদযাপন!
ধর্ষিতারই জীবন কিসের? চেয়েও শ্রেষ্ঠ মরণ,
ত্যাজ্য করেছো সমাজ তাহারে, দিয়াছো ধরিয়া কাফন!
মুখ দেখিয়া পরিচয় নিবে, যেন সে সমাজে বোঝা!
এরপরও কেন ভাবিবে না সে যে, মরণ হয়তো সোজা!
পশুর মুখটি চিনিবে কজন? কে ভাঙিবে গর্দন?
ধর্ষিতারই লাশরে বলিবে পোড়া কপালের ক্রন্দন।
ঠিকমত কেন পর্দা করেনি, সব দোষ অই নারীর,
পাশবিক চোখে তাকানোর দায়, অবলার অই শরীর।
পশুগুলারে জরায়ুতে কেন রাখিলে এত মাস?
আজ দুধের শিশুটি বিকৃত পশু, চায় ধর্ষিতারই লাশ৷
এ সমাজ লাশ দেখিবে ধর্ষিতারই, মরিয়া শান্তি নাই,
ধর্ষকরে চিনিবে কজন? এই তো পশুর ঠাঁই।