জানো হে গুণান্বিতা! উচ্ছল মানসী!


বালক হৃদয় বড় নিশ্চল, নির্জীব!
বোধ করি যেন, কালিমাখা এক গদ্য।
তুমি দিয়াছো তাহাতে রক্তগোলাপ
ঢালিয়াছো তাতে ছন্দ!


জানো হে সুস্মিত সুহাসিনী!


পুরুষের বক্ষ অন্তরালে র‍য় নাকো কোনো হৃদয়।
সে হৃদয় তো তব নিকট বন্ধকী থেকে যায়।
শুধাই আপনারে,  বারেবারে তবু দেখিলে তোমারে
আকুলতা জাগে, যেন কভু দেখি নাই।


জানো হে মাধবীলতা!  প্রভাতের উছসী!


তব হরণ করেছো যে পুরুষের ভগ্ন হৃদয়।
সে হৃদয়ের অখন্ডতা, তুমি যে জুড়ে দিতে পারো।
তরীতে তোমার,  রহিয়াছে সেই হৃদয় নাও
যত দেখি তোমারে, আমি দেখতে চাই আরো।


জানো হে তিলোত্তমা! উদ্দীপ্য শ্রেয়সী!


মরদ চিত্তে বহে নাকো লহু।
দেখিলে তোমায়, সময়ের ক্ষুদ্রাকায় এক লহমায়।
যেন সে লহু আত্মার পরশ পায়
ফিরে যত দেখি তোমারে, তত দেখিতে মন চায়।


জানো হে প্রিয়তমা! রুহের প্রেয়সী!


মরদ হিয়ার স্পন্দন যেন শুকনো পাতার মরমর।
সেথা দমকা হাওয়ার ছলে কবিতা রচিত হয়।
দেখিলে তোমায়! যেন ঠিক খরাপ্রবণ সে হৃদয়ে
বর্ষার মিষ্টতায় বারিধারা অবিরত বয়।


জানো হে নীলাঞ্জনা! সত্যের সুভাষিণী!


যুবক হৃদয় তো জন্মিয়াছে একাকীত্বে!
বিরহ কাতরতায় তো সে এক দূর্ভিক্ষ, উদগ্রই ।
তুমি সেই শূন্যতার থালিতে গেথে দাও শিউলী
যাহাতে সেই নির্জনতা মম ভুলে যাই, শীঘ্রই।


জানো হে বনলতা! প্রেমমন্দির পদচারিণী!


যুবক হৃদয় তো সদা ম্রিয়মাণ এক ক্লান্তি!
সে ক্লান্তিতে তুমি যেন দক্ষিণা পবন।
সতত সর্বদা সে অনিবার ক্লান্তির ,
জীমূত ভাঙিয়া সুরভিত করে তোমারি চিন্তন।