একটি কবিতা লিখা হয়ে গেলে ভিতর বাড়িতে জ্বলে ওঠে পুলকবিদ্যুৎ
প্রবল পুলক কখনও সখনও আমূল সুখান্ধ করে ছাড়ে
সৃষ্টির আনন্দে মেতে উঠি সদ্যজাত সন্তানের মুখ দেখা মায়ের মতন
সমস্বরে শিস দিয়ে আমাকে ঘেরাও করে শিঙঅলা শিহরণ...


একটি কবিতা লিখা হয়ে গেলে আনন্দের হাত-পা গজিয়ে যায়
সমগ্র আমাতে তারা হামাগুড়ি দেয়
সে আনন্দ কৃষ্ণপক্ষ ভেদ করে জোছনার প্লাবনে ভাসায় রাতের গতর
নিজের অজান্তে গৃহত্যাগী হয়ে পড়ে জোছনাবৈরাগী
ক্ষুধার্ত মাকড় জাল বোনা ভুলে গিয়ে জোছনা মাখতে থাকে
মরানদে বানডাকে, হাসেরা ভাসতে থাকে জোড়ায় জোড়ায়


একটি কবিতা লিখা হয়ে গেলে দৃষ্টির নোঙর হয়
টেবিলের তীরে ঠাণ্ডা হওয়া চায়ের কাপে
মনে পড়ে খাবারের কথা
জরুরি ম্যাসেজ, কল ব্যাক...


একটি কবিতা লিখা হয়ে গেলে গৃহলক্ষ্মীর গোমড়া মুখে
খোশগল্পের ম্যাকাপ করা যায়
কন্যাকে আদর করে পুত্রকে বানিয়ে প্রতিপক্ষ
বাড়ির উঠানে হয় বিশ্বকাপ ফুটবল


একটি কবিতা লিখা হয়ে গেলে সুখেরা উড়তে শুরু করে
যে সুখ হাসিয়ে ছাড়ে কঠিন পাথর
রোমকূপে বয়ে যায় বসন্ত বাতাস
আমি কৃষ্ণচূড়া হয়ে যাই
বাড়িতে বাড়িতে অলিতে গলিতে সড়কে সড়কে তুমুল ফুটতে থাকি
আমার ছবিতে ছবিঅলা ভরে তোলে খবর-কাগজ


একটি কবিতা লিখা হয়ে গেলে পুলক সাঁতার কাটে শিরায় শিরায়
যে পুলকে বুঁদ হয়ে যায় প্রথম সঙ্গমরত নারী ও পুরুষ
পাহাড়ের পীঠ খিলখিল করে তোলে দীঘল রূপালি চুল
রঙধনুর সকল রঙ ঝরে পড়ে খালবিলঝিলে


একটি কবিতা লিখা হয়ে গেলে কবিতাটি ডলফিন হয়ে
কবির সাগরে সাঁতরায়
পৃথিবীর সব বুনোফুল মুহূর্তে গোলাপ হয়ে যায়।


জুলাই ২৩, ২০১৭ ।। ভিশি, ফ্রান্স।