🌌📖 নীরবতার পররাষ্ট্রনীতি

— Sekh Fayzulla-

আমি লিখি সময় নিয়ে—
তার গতি, তার ক্ষরণ, তার নিরবতা নিয়ে।
তবু কিছু প্রশ্ন থেকে যায়—
যেমন, আপনি চলে গেলে সময়ও কি থেমে যায়?

স্মৃতি কখনো কোনো রাজ্য চায় না,
তবু মস্তিষ্কের অজস্র সীমানা পার হয়ে,
তুমি এসে দাঁড়াও—
একটি সন্ধ্যা, একটি চোখের ভাষা,
একটি না বলা বিদায়ের ভেতর।

আমি সবকিছু যুক্তিতে সাজাই,
তবু একমাত্র তুমি—
তোমাকেই যুক্তি দিয়ে ব্যাখ্যা করা যায় না।
তুমি সেই ব্যতিক্রম,
যাকে আমি রাষ্ট্রীয় প্রটোকলের বাইরে রাখতে চাই,
তবু প্রতিটি আলোচনার কেন্দ্রে এসে পড়ে।

আমার কলমে নীতিকথা, গবেষণার নোট, ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা—
আর এক কোণে, একটি নীরব অনুচ্ছেদ:
যেখানে তুমি আছো, সংজ্ঞাবিহীন এক অধ্যায় হয়ে।

প্রতিটি সিদ্ধান্ত গ্রহণের আগে আমি সময় দেখি, হিসেব করি।
তবু তোমাকে সামনে আনলে সব হিসেব গোলমাল হয়ে যায়।
তুমি যেন এক নিঃশব্দ রাষ্ট্রদূত—
আমার ভিতরের আলোচনাসভায় প্রতিনিয়ত অংশগ্রহণ করো,
কিন্তু কখনোই বক্তব্য দাও না।

তোমার চলে যাওয়া কোনো চুক্তির লঙ্ঘন নয়,
বরং এক নিঃশব্দ চুক্তিপত্র—
যেখানে শুধু আমি স্বাক্ষর করেছি, তুমি নও।

তোমার অনুপস্থিতি আমার নীরবতায় এক বিশাল শূন্যতা গেঁথে দিয়েছে,
যেখানে সময়ও আর কথা বলে না—
শুধু থেমে থেকে বুঝিয়ে দেয়, কেউ ছিলো।

তুমি যদি কোনো রাজনীতি হতে, আমি হয়তো নিষ্ক্রিয় থাকতাম,
কিন্তু তুমি হয়েছো আমার মনের অভ্যন্তরীণ নীতি—
নিরাপদে রাখা, প্রকাশ না করা,
তবুও প্রতিটি সিদ্ধান্তে প্রভাব রেখে যাওয়া এক অলিখিত নিয়ম।

আমি সময় নিয়ে বই লিখি,
তোমার নাম নেই কোথাও—
তবুও প্রতিটি অনুচ্ছেদের মাঝখানে,
তোমার নিঃশব্দতা উচ্চারিত হয়।