মানুষ দেখলেই ইদানীং পরিচিত মনে হয়,
মনে হয় আরে এইতো সেই
যাকে আমি খুঁজেছিলাম বহুদিন আগে,
যে ছিল আমার অতি আপন
সযত্নে পুষে রাখা মন পাখিটির মতন।
না কোন ভুল নয় হয়ত সেই ছিল
যখন ছিলাম আমি মৃতের মত জীবিত
কিংবা নেশাগ্রস্থদের মতো ঘুমন্ত।
তখন সে এসেছিল আমাকে জাগাতে বা
মধুর স্বপ্নের ভেতর আমাকে রাগাতে।


আমাদের বাবা চাচারা বা তাদের দাদারা
বা তাদের দাদাদের পর দাদারা কোন এককালে
প্রাণপ্রিয় বন্ধু ছিলেন বা ছিলেন আপন দু ভাই
যেন একই শাখায় সদ্য-জন্মানো দুটো কুড়ি।


তখন হয়ত আগুন ছিল
কিন্তু আগুন তখনো পুড়াতে শিখেনি মানুষের ঘর,
তখন হয়ত পাখিও ছিল কিন্তু পাখিও জানত না
আগুনে পুড়লে ডানা আর অক্ষত থাকে না।


তখন আগুনে পুড়লে মানুষটির ঘর
তাকে কভু কি আর আমার আপন মনে হতো,
আমার ফাগুনেও সে আগুন দিয়ে জয়োল্লাসে নামত।
পাখিটিও তার ক্ষয়ে যাওয়া ডানার শোকে
হরতাল বা অনশন ডেকে বিলাপ করত।
আর আমি ১৪৪ ধারার ভয়ে চায়না তালায়
দিতাম আরেকটি মোচর ।


-১৯ আশ্বিন ১৪১৯