সে এসে বলে গেল;
কবি রাজনীতিবিদ হয়ে গেলে মনে হয়,
তোমার ভেতর আজ যতটুকু রাজনীতি ফুটে উঠে
ততটুকু আমাকে আর পাইনা তোমার কোন লেখায়।
তুমি কি তোমার কবিতাকে নিয়ে সন্তুষ্ট নও?


আমি বললাম সন্তুষ্টি ও বাস্তবতার পথ দুটো ভিন্ন,
দুজন ধারণ করছে দু পৃথিবীর নাগরিকত্ব।
বাস্তবতায় রাজনীতিকে কিভাবে আলাদা করবে বলো?
দেখো;
ঘুম থেকে উঠতে পারব না পারবনা
তা নির্ধারণ করে দেয় রাজনীতি,
ঘুম থেকে উঠার পর পানি পাব না পাবনা
তাও নির্ধারণ করে রাজনীতি,
নাস্তা তৈরি হবে না গ্যাসের অভাবে চুলায় জ্বলবেনা আগুন
তাও নির্ধারণ করে রাজনীতি,
ঘর থেকে বাস স্টপেজ পৌছতে পারব না পারবনা
নির্ধারণ করে রাজনীতি,
বাসের ভাড়াটুকুও নির্ধারণ করে রাজনীতি,
অফিসে পৌছা পর্যন্ত সময়টুকুও রাজনীতির হাতে,
অফিস থেকে বের হতে পারব না পারবনা তা রাজনীতি জানে,
যদি বাজারে যাই সেখানে নিত্য-পণ্যের দাম নির্ধারণ করে রাজনীতি,
পণ্য মজুদের হিসাব নির্ধারণ করে রাজনীতি,
বন্ধুদের আড্ডা বন্ধুর করে তুলে রাজনীতি,
আমার ঘরে আবার ফিরব কিনা নির্ধারণ করে রাজনীতি,
আর রাজনৈতিক ছোঁবলে প্রায়শই আহত হয় তোমার আমার দাম্পত্য সুখ,
এই রাতে ঘুমিয়ে গেলে আবার কবে জাগব
না এটিই হবে শেষ ঘুম রাজনীতি জানে তা।
রাজনীতির এই নিত্যকার চক্র
আলাদা করে দেয় তোমায় আর আমায়,
এ চক্রে কবিতার ঠায় কোথায়?


--২৭ বৈশাখ'১৪১৯