বন্ধু এবার একটি চাকরি প্রয়োজন,
গলায় ঝুলিয়েছি সার্টিফিকেট এম এ পাস তাও বহুদিন হলো।
বাতাস খেয়ে বাস করব আর কতদিন?
তুইতো আছিস বেশ!
খাচ্ছিস দাচ্ছিস অফিসে যাচ্ছিস।


বন্ধু চাকরিটা সত্যিই প্রয়োজন,
জানিসই-তো টাকা ছাড়া চাকরি হবে না,
আমার এত টাকা কই।
আমার কেবল তুইই ভরসা,
একটু ব্যবস্থা কর।


চাকরিটা আমার বড্ড প্রয়োজন বন্ধু
যদি এবার চাকরি না পাই
তোর হবু ভাবীর বিয়ে হবে অন্য ঠিকানায়
ওরা চায় চাকরিজীবি ছেলে।
দেখনা একটু........


কি হলো! সবই ভুলে গিয়েছিস
ঐই যে, আমার চাকরি।
চাকরিটা বড্ড প্রয়োজন দোস্ত
পাল্টাতে হবে বাবার চশমার পাওয়ার,
ছোট বোনের বিয়ে,
আর যে পারিনা একটা কিছু কর।


তুই কি কিছুই করবিনা আমার জন্য?
পেরিয়ে এসেছি সরকারী চাকরির বয়স
পাঁচশ টাকা ব্যাংক ড্রাফট করতে করতে
বাবার পকেটও আজ খালি
তুইই বল কি করতে পারি।


হ্যালো, হ্যালো দোস্ত কি খবর
আমার চাকরি, হ্যাঁ হ্যাঁ চাকরিটা হবে?
এবারো না। চিন্তায় চিন্তায় মাথায় আমার
ঢাক গজাচ্ছে। তুই দোস্ত হয়ে কি করছিস?


দোস্ত আমার জন্য আর চাকরি খুজিসনে
আমি ভালো আছি, বেশ ভালো আছি
পৈত্রিক সম্পত্তিতে ফসল ফলাচ্ছি।
আর সেই হবু ভাবী?
সে এখন অন্যের ঘরণী, কি হবে আর চাকরি খুঁজে বল।
বাবা সংসারের হাল ধরিয়ে এখন পরপারে।
আমিও তাই বাবার পেশায় নিজেকে টিকিয়ে রেখেছি।
বাবা নেই কিন্তু তার পেশা আছে, এই পেশায় আমি বাবার অস্তিত্ব খুঁজে পাই।
বাবার স্বপ্ন ছিল তার ছেলে হবে চাকরিজীবি।
কিন্তু বাবা জানতনা কিছু স্বপ্ন দেখাও ভুল।


তোর ভিজিটিং কার্ডটা আমার বুক পকেটে ছিল, ফেলে দিয়েছি।
আসলে তোর ভিজিটিং কার্ড রাখার মতো যোগ্যতা আমার নেই।
আমি এক পাষাণ মাটির খেলোয়ার। মাটি পিষে তার নির্যাস তুলে দিই তোদের মুখে
তোর কেবল হা করে গিলিস। আর আমরা চাকরির কথা বললেই তোদের সময় হয়না।


বাড়িতে আসিস, দেখে যাস আমাকে
আমি তোকে কিছু না দিতে পারলেও
বিশুদ্ধ ভালবাসা পাবি, বিশুদ্ধ বন্ধুত্ব পাবি।