কিশোর/কিশোরী রা যখন সদ্য যৌবনের দ্বারপ্রান্তে দাড়ায়, তখন তারা শুধু নিজেকে অর্থাৎ নিজের শারিরীক পরিবর্তন দেখতেই ব্যাস্ত হয়ে যায়, অন্যকে চেনা এবং জানার কোন ইচ্ছা তাদের থাকেনা। তারা তখন তাদের কিশোর সাথীদেরকে ছেড়ে নিজেদেরকে বড়দের দলে ভাবতে থাকে, আবার বৃদ্ধ/বৃদ্ধার নূয়ে পরা শরীরকেও অবজ্ঞা করে।
আজকাল অন-লাইনের উঠতি লেখক/লেখীকাগনও শুধু ফেসবুকের সস্তা বাহবা পেয়ে নিজেদেরকে সদ্য যৌবনপ্রাপ্ত কিশোর /কিশোরীদের মতো অহংকার সম্মৃদ্ধ কল্পনার আয়নায় দাঁড় করিয়ে নিজেদেরকে রবীন্দ্রনাথ, জীবনানন্দ, মধুসুদন, শরৎ, সুনীল, বিমল, তারাশংকর, শংকর এদের কাতারেই নিজেকে আবিস্কার করেন বা করে থাকার চেষ্টা করেন।
তাই তারা তাদের কিশোর বন্ধুদের লেখা, যত ভালই হোকনা কেন, তা দেখার সুযোগ বা মানসিকতা তাদের থাকেনা।
এমনকি বয়সের ভারে নূয়ে পরা মানুষের বাস্তব অভিজ্ঞতার কথাগুলোকেও তারা অবজ্ঞা করে থাকেন।