অনেক রাত এখন নির্ঘুম কাটে
তারপরও তারাগুলো হয়না আর গোণা
সপ্তর্ষি কালপুরুষ কবে কোথায় থাকে
সব কিছুই আজ বড় অর্থহীন লাগে ।
কালচে গাছে নেই অশরীরি ভয়
চাঁদের মাঝেও নেই কল্পিত মুখ
দুপুরের আগুণ রোদ বিরক্তিময়
খেটে খাওয়া দিন মজুর পুষেছে অসুখ ।
অভাবি শরিকের চোখে মুখে ক্ষোভ
রাতের আঁধারে আসে ঝড়ের গর্জন
নড়বড়ে কুঁড়েঘর গুমোট নিরব
আতংকে কেঁপে উঠে যখন বাতাস ছোটে শনশন ।
তিন ছেলের বুড়ো বাপ অনাহারি থাকে
ঝাপসা চোখের মণি পৃথিবী হাসে
আর কতো দিন বাকি সে ছবি আঁকে
চাওয়া পাওয়ার হিসেবে দুচোখ ভাসে ।
স্কুল বয়সী ছেলেটি হয়ে গেছে চোর
উদ্ভ্রান্ত চোখে অপরাধির ছাপ
কখন যে হয়ে গেছে পাকা নেশাখোর
বিভ্রান্তি ছড়ায় পূণ্য আর পাপ ।
অধিকার আর অনধিকারে বিতর্ক চলে
জেগে থাকা রাত জুড়ে ভাবনার জাল
দীর্ঘ শ্বাস বেড়ে যায় রাত গভীর হলে
তারপর শুরু হয় একই আরেক সকাল ।