উন্মত্ত সাগরের মতো জোছনার ঢেউ খেলে যাওয়া পূর্ণিমা রাতে
হলুদ নীল সাদা পরীগুলো জোছনাস্নানে তুলতো ফেনা
আর ঘসে দিতো স্বপ্নগুলো রোজ আঁখি পাতে
দুপুরের কড়া রোদে যা প্রতিদিন হতো অদূশ্য আর বড় বেশি অচেনা ।
আজ বুঝি ও দুটো চোখে বাসা বেঁধেছিলো সাহারার ধূর্ত মরিচীকা
সবুজ ঘাসেরা যেদিন দুলছিলো শরতের কাশফুলের আহবানে
সে রাতে আসলে ছিলোনা কোন পরীর দল বা তাদের চাহনি শিখা
ফুল যা ফুটেছিলো তার সবগুলোই ছিলো আমার নিজ বাগানে ।
এরপর জোছনাগুলো ক্ষয় হতে হতে কৃষ্ণপক্ষ শেষে আসে অমাবস্যা
নক্ষত্র মিটিমিটি হেসে বলে এবার ঘুমোতে যাও বাউন্ডুলে তুমি
তখনো ঘুমহীন মানুষেরা বনের জঙ্গল মনে টেনে এনে করে তপস্যা
পরম সুখি নির্বোধ গাধাগুলো পাথরকে বালিশ করে সন্ধ্যায় গিয়েছে ঘুমি ।
তারপর মাসে মাসে নীলাকাশে পাতাদের গানে গানে পূর্ণিমা হয়
এখনো মাঝে মাঝে দীর্ঘশ্বাস শোনে অতৃপ্ত মন
নিঃশ্বাস নিতে নিতে বিস্বাদ হয়ে গেছে ঢেউয়ের সময়
সবুজ চোখে দেখেছিলাম যে জোছনা আমি তা আর এখন কাজ করেনা অষুধের মতন ।


২২/০৭/২০১৩
কালিহাতি , টাংগাইল ।