আগর আবীর


নানা নামে তুমি মিশে আছ নানা ভুমে নানা জনে
আদতে তুমিত একটি হিতকর জীব যার জারনে
মোহিত হয় কাশবন থেকে মহাকাশ, কাশি থেকে মরুভূম ।
  
মহাশূন্যে তব ঘ্রানে প্রৌঢ়-প্রেম পুরু হয় রঞ্জন বেঞ্জনে  ,    
তোমাকে অগুরু নামে ডেকে গভীর হয়েছে আয়ুর্বেদ    
তুমিই আবার ঈশ্বরের কাঠ হয়ে  
ধ্যান জারি রাখ জেদ্দা, জাপান,জেনেভা, সুমেসশরির  জারিরায় ।  
        
তোমার সাদা ফুলে এঞ্জেল আকুল হয় নিভৃতে    
বদ্বীপ-বিহগ ব্যাকুল হয় তব তলের তিলং তারানা্য়  
যেমন হয়েছিল নজরুল বহু বার, সার্জেন্ট জহুর উনসত্তরে,  
তোমার তেজন তহে বসে নেতা-ঋষি সদলে সৃজন সাধনায় মেতে ছিল    
এক ঝলমলে জমিন জাগাবে বলে পলি-বিল ভেদ করে- তেভাগার তরুনের তাতায় ;
      
তোমার বিমল আগা থেকে অযুত সূর্যমানু টেনে ছিল ছিলিম ছিলিম মুক্তি-মলয় ,          
আর ছুড়ে ছিল গুলি গ্রেনেড গেরিলা-গরিলা গুডুম গজাল বাঙলা-ল্যাটিন ছুরতে,          
সেগুলি  গোমতি খোয়াই তিতাস তুরাগ মেঘনা বেয়ে তুখড় তাগদে
তামাবিল তেতুলিয়া তালতলা তালায় পোঁছায় উজান ঠেলে ঠেলে –  
শীষ দেয় হর্ষে বারোমাসি কদম কুমুদ কুমিল্লা থেকে ঢাকা্য়
প্রান-পানি পায় একটি জমিন, সেখানে আগর আতর অবিরাম বহে সুষমায়।
    
আখাউরা আলের দোয়েল বেদনে জানায় অহন অনিলে অনল বহে, শ্বাসে সংশয় ,          
হয়ত নতুন ধারায় উঠিবে পরিতোষ-সমীরণ কোষে, পদ্যে আর পদ্মে ওপারে এপারে  ।            
  
২৯।০৭।২৩