একটি  কানন, শতেক দুয়ের মতো নানাবিধ বৃক্ষ লতা নিয়ে তার মূল রিনঝিন। বিশ্বাসী ভাবে  ঐশী  ইশারায় এর বাড়ন  চলন , বহে কিছু  অন্য বয়ান ।  প্রতিটি শাখীর  আছে স্ব স্ব তন্ত্রে মন্ত্রে যন্ত্রে চলার কাহিল কথন  ।  লাল নীল সাদা  নানা বর্ণে  উতলা  কানন যেন  ক্লোনকৃত   কোন  কায়া  - স্থপতি অতীব  মহান , সর্ব রাগে রাগিণী  বাজায় নিজ মানে কাননে কাননে   । কাননে তটিনী স্বর্গীয় আদলে ছিল বহমান ,  কাহিল  করেছে  কতক  পাতাশা  পাষাণ।


কিন্নরী বাজত কানন গগনে  ধ্রুপদ   রাগে  মধুর  আবহে সকাল সন্ধ্যা রাতে   !   উদ্যানের   একটি  বড় বৃক্ষ  কর্কটীয়  রোগে পেরেশান  বছর সত্তর বয়সে এসে  । সম্ভাবনা আঁচড়ায় সবচেয়ে নান্দনিক হওয়ার - পাতা শাখা  ছাল মূল বীজ সমেত ;  কিন্তু অসুরের থাবায়  বেপথু ঘুরছে -  ডুববে বলে আভাস ভাসছে মানব মানসে   । দুরের  একটি গাছ লাল মোড়কের  নীচে নীল ছড়িয়ে অস্থির করেছে বাগিচা  । বড় দুষ্টু  বাসে না ভাল তাকে , লেগে যায় সর্বত্র প্রেমহীন ধাঁচে ।  প্রতিটি বড়  বৃক্ষ যেন  বদ  বায়ে বেপরোয়া  সাথে আছে  বাচাল  আগাছা  ।  কিছু কিছু লতা গুল্ম রঙ দিচ্ছে -  তবু  বাস   বাজে না  বাসনায়  ।    হয়ত কানন সৃজক হাসে  আর আপাত এটাতে তুষ্ট থাকে বিমূর্ত কারনে।          


২২।০৪।২১