কলকাতায় চৈত্রের শেষ রোববারের সকাল
খোঁজা খুঁজির পর চা ও কফির একক দোকান মিলেছিল    
পাঁচ কবি পান শেষে যাদবপুরের দিকে রওনা দিল –
বাস নাম্বার ভুলে গেল কোন কোন কবি, তবে বাসটি লোকাল ।
  
গত রাতের কালচৈত্রের জন্য সজিবতা ছিল আশপাশ গাছপালা তৃণলতায়
যদিও দুপাশে ঢাকার মতোই ইংরেজি সাইন বোর্ড, মনে করিয়ে দ্যায়
ব্রিটিশ ছিল বেশ করেই কলকাতায়, ঢাকায় ।
একটু বাদেই বাস থামল পুলিশের হাত-হেলনে  
ভাষা বুঝে নিল চালক ও তার সহকারি তরুণে
যেমন বোঝে সীতাকুণ্ডের সতীর্থরা, অচিরেই বোঝাপড়া বাংলা কথনে
নিজস্ব স্বার্থে মন্দ হাওয়া, ইংরেজ সংস্কৃতি কল্কেহীনে ।
ইতোমধ্যে পিছনে ঢাকাইয়া চালে হর্নের কোরাস  
যেন শব্দদূষণের বঙ্গীয় ব্যান্ড ।    
      
ক্ষ্যাপা যাত্রি কেহ ছিল না , আবার চলে বাস নিরবে ,
ঈষৎ হাসে চালক , কবি পলক দেয় পুলিশ পানে ,
নারী সিটের নর বসতে দ্যায় নারীকে ;  
বাসে নরগন ডানপাশে  
নির্বাচনে কি টের হবে জ্যৈষ্ঠ মাসে
কিছু বায়ু-বৃষ্টি ক্লান্ত প্রচারনা দুদিকে
অদূরে শালিক-জোড় নারকেল শাখে,  
অতিশয় মনযোগী রবি-ভোরের কুজনে ।

পুলিশি বাঁধার পর চালক মজিল হিন্দি গানে    
মুড়ির-টিন বাসের উন্নত ভার্সনে    
কবিদল পেল সুরের হেলনি মৈত্রী সন্মেলনে’র প্রাক্কালে ;      
বোঝা গেল না কবিদের একান্ত অনুভতি  
ভাবনাহীন নানাবিধ বাসযাত্রী ।


দ্বিতীয় প্রহরের মাঝামাঝি কবি-যাত্রীরা নামলেন যাদবপুরে  
কাক-শালিক উড়া ভোরের যাত্রা শেষে    
বেশ সুসাশ্রয়ী যাত্রা, যাদববাবুর অঙ্ক না কষলেও চলে      
যদিও ব্রেককষাটা বরিশালের বাসবৎ বেমাপা ।
  
কয়েক কাইক পরেই  
কবিদের বাক বাকুমির বাজন
মিলমিশের মহাকাব্যিক মানন, নড়ন-বাড়ন ।    


০৮.০১.২০২৬
২১.০৪.২০১৯ ।
মিরপুর, ঢাকা।