পৌষের মধ্যরজনীর  চাঁদ
অনাদিকাল থেকে রোমান্টিক বা বিপ্লবী কবিকূল পেয়েছে নানাবিধ রসদ  
অনেক কষ্টে কুয়াশা আর  ধূলাস্তর মাড়িয়ে পৌঁছায় দক্ষিণ এশিয়ার রাজধানীসমূহে
আর  বড়  বড়  শহরে  নগরে।


রাতজাগানিয়া সুরাচ্ছন্নে আপলুত  হয় কোন কোন কবি ও অকবি।


শীতে কাহিল নয় নগরনষ্টি নব্য মধ্যবিত্ত বরং গোষ্ঠী গহবরে গিলু গালায়
তেমন দৃশ্যমান কাহিলতার কাহিনী নেই : যতই উর্ধমুখী হউক চাল সব্জী ভাড়ায়
ইরানের বাতাস একটু অন্যরকম : ট্রাম্প পুতিন ভিন্ন রাগ বাজায়  ।


চাঁদের হৃদহরী হাস্যে  পুরোপুরী শীতস্নানে  অনেকেই ব্যস্ত ভীষণ
ছিটেফোঁটা শ্রেষ্ঠ  জীবকুলীনতায়   উছলি উঠে রৌমারী চিলমারী চরের মার খাওয়া মনুষ্যবদন
কেঁপে কেঁপে বেঁচে  অভ্যস্ত ওরা
শীতের রাতে
বর্ষার স্রোতে
ঝিলিকিত বালু চরে
অমর্ত্যের  গবেষনে।   .


কি এক অভিন্ন ভাইরাসের নিরুত্তাপে নিষ্প্রভতায় মধ্যবিত্ত ঘুমায়  চাঁদবিহীন কাষ্টল  বেড রুমে
ক্ষমতা-উত্তাপের সকল নগরে স্বাৰ্থলতায় অক্টোপাসের মতো জড়ায়।


ভ্যাটিকানে যতই উচ্চারিত হোক ভোগবাদ  নিরসনের মিডিয়া-মেলানিয়া  ভাষণ
ঈশিক গ্রন্থে গ্রন্থে যতই ভাসুক মানবতাবাদি  কথন
যতই বুলি ছড়াক সমতার মহাশয়রা  
অসাম্যতার চাঁদনী চাদর কুৎসিত  রঙে  ঝল ঝল  করে সবখানে -ইটনা  ট্র্যামপাড়া।


পৌষের মধ্যরজনীর  চাঁদ
কিছুটা হলেও দেয় অমৃতের স্বাদ।