বনরানী নাচে ফুলমঞ্চে- হেলে দোলে সুর বিহঙ্গে
হাতছানি দেয় স্বর্ণলতা,কে আঁকে সেই ছবি ? ।
নক্ষত্র দীপালি রবিশশী গ্রহপুঞ্জ আকাশে
কতো আনন্দে সত্য বিকাশ কল্লোলিত সুন্দর দেশে
ফুলে ফুলে চির অনুপম ঝলমল স্নিগ্ধ মনোরম ।
আজি হাসে ধরাতল মনোবীণে জগে গীতিরোল
টলোমলো চঁদের রুপালী নদীর মতো জলভ্রম ।
চেতনায় টের পাই -
কৃঞ্চচূড়ারা পরাইয়ে দেয় তোমাতে আমাতে রক্তচেলি
অনাগত বিকশিত ফুল সুষমায় সিক্তপ্রীতি
অজানার কথা গেয়ে যায় হরেক সুরে সকল পাখি
স্নিগ্ধ দ‌্যুতিময় সুখ স্বপ্নে নাচে দ্বিগলয়
বাসন্তীর রঙ করে সো্নার অঙ্গনে ।
মুগ্ধচিত্তে ভাবি সৃষ্টির সেই সুভ্র সূচনায়
কে গাহিল এমন গান, কে গাথিল এমন ঐকতান-
সুমঙ্গল শিউলীর প্রাণে, আমার কানে কানে
কে বাজালো সেই বাঁশি, রাঙালে শত পুষ্প রঙে
নব সৃষ্টির অম্লান সুখে - শুভ নববরষে
তোমার অঙ্গনে অপূর্ব ছবি ফুটে প্রভাতে সন্ধ্যায়
আমার প্রিয় মাতৃভূমি- প্রিয় মৃত্তিকায় ।


রচনাকাল ঃ ২০০৫
গ্রন্থ ঃ মৈত্রীর ডাকে (বইমেলা ২০১০)