মুখরিত দিন ছিলো বন্ধুদের আড্ডায়
দূর হতে ছুটে আসা, রোদ বৃষ্টি ঠান্ডায়
হাসাহাসি ছিলো কত, ছিলো কত গল্প
হারালো সেই দিন, আজ মেসেঞ্জারই বিকল্প ।

চাহিদাও ছিলো সবার অল্প ও সামান্য
হাত খরচের টাকা পেলে হয়ে যেতাম ধন্য
সেই টাকায় সিঙ্গারা-সমুচাই শুধু জুটতো
বন্ধুরা মিলে মিশেই সিগারেটও ফুঁকতো ।

বান্দ্রামির মাত্রাটা ছিলো না তো অতো শত
বাবা-মা’র শাসনটাও ছিলো কারো শক্ত
বন্ধুরাও মাঝে সাঝেই বাসাতেও আসতো
বুঝাতাম পড়ালেখায় থাকি সবাই ব্যস্ত ।

কার কি প্রেম ছিলো , কোথায় তারা বেড়াতো
হাজারো সব ফিরিস্তিতে, আড্ডাটা জমতো
প্রেম নিয়ে গ্যাঞ্জামে বন্ধুরাই পাশে থাকতো
বিপদে আপদে বন্ধুরাই, হাতটা বাড়াতো ।

জোর গলায়, যুক্তি-তর্কটা বরাবরই চলতো
কেউ কেউ দিয়ে দিতো জ্বালাময়ী তথ্য
তবুও কেউ হারতে চাইতো না, খুব সহজে
বুঝাতো, বুদ্ধি সে রাখে, তার মগজে ।

আকীকার পরেও, আরও কিছু নাম ছিলো
বন্ধুরা ঐ নামেই বেশি, পরিচিত ছিলো
কিম্ভূতকিমাকার ছিলো সেই নামগুলো
সেই নামেও ভালোবাসাটা মিশে ছিলো ।

দল বেঁধে ঘুরতাম এখানে ও সেখানে
রাজনীতিও চলতো চায়ের দোকানে
বন্ধুরা বইমেলায় ঘুরতো, শুধুই ঘুরতো
যদি কেউ মিলে যায় নিজরেই মন মতো।

বড় বড় পাশ দিতে আজ, অনেকেই বিদেশে
বাকী সব বন্ধুরাই আজ প্রতিষ্ঠিত স্বদেশে
কালে-ভদ্রে মাঝে-সাজে কারো সাথে দেখা হয়
হৃদ্দতা টিকে আছে, তবু হয় হিসেবী বাক্য বিনিময় ।

এখন সবারই বিয়ে হলো কারোর স্বামী হলো
কারো বউ এলো কাড়ি কাড়ি টাকা এলো
আজ সেই মুখরিত দিন গুলো নীরব হলো
নিঃশব্দে জীর্ণ পাতায় স্মৃতি হয়ে গেলো ।