কত সুন্দর মোহময় করে প্রভু বানিয়েছো ধরণী
তারই মাঝে পেয়েছে অস্তিত্ব ঐ যাদুময়ী নারী
কাব্যমালায় তার অপরূপ সৌন্দর্য উজাড়ি
কি আর করি, আমি তো সৌন্দর্যের’ই পূজারী।


ফুলের কোমলতা যেমন মুগ্ধতা আনে এই মনে
নীল আকাশের নীল দেখে যেমন ভাবি আনমনে
সাগরের ঢেউয়ের মূর্ছনা যেমন প্রাণ আনে প্রাণে
মোহাবিষ্টও হয়ে যাই পাখপাখালির কলতানে।


সব উপমা ভুলে যাই যখন তোমাকে দেখতে পাই
ধরণীর যত রঙ আছে, নারীর তুলনা কিছু নাই
তোমার রূপের ঐশর্য্যে চির উন্নত তুমি একা’ই
তোমারে ইচ্ছে মতন সাজিয়েছেন স্বয়ং বিধাতা’ই।


তোমারে ভেবে কত যে অনুরাগী, হয়ে গেছে কবি
কত যে আবেগী, এঁকেছে কাগজে তোমারই ছবি
তোমারই জন্য কত যাযাবর, হয়েছে আজনবি
তোমারই জন্য কত যে মহাজন, হয়েছে অভাবী।


এই ধরণীর কেন্দ্রে জড়িয়ে রয়েছো তুমি,হে নারী!
অনাদরে তোমারই হাতে ঘুরে রূপ-যাদুর বাঁশরী
তোমার রূপের বিশ্লেষণে আমি তো বড্ড আনাড়ী
তোমার উপমা দিয়ে শুধু কাব্য’ই লিখতে পারি।