দিন যায় কাল যায় সময় তো চলছে ঘড়ি কাঁটায়
মানুষ হয়ে প্রতিবাদীর রঙ দাও এই জীবনটায়
আর কত-কাল মুখ বুজে, রাখবে মাথা নত
লরেই মরো, সব হারিয়ে তুমি আর, বাঁচবে কত।


সুখের জীবন পাবে না খুঁজে সহজ সমীকরণে
স্বাধীনতা মিশে থাকে বীর যোদ্ধার রক্তক্ষরণে
ভোগের জীবন যদি চাও,তাও পাবে শুধু ক্ষণিকের
দাসত্ব নিয়ে’ই বেঁচে রবে জেনো শোষক মালিকের।


জালিমেরা লাথি মেরে নিয়ে যায় তোমার স্বাধীনতা
মুখে তালা মেরে রেখে যায় দাসত্বের মৌনতা
তোমার পায়ের শৃঙ্খল হতে মুক্তির কে নিবে দায়
আর কতকাল উৎসব হবে তোমার পরাধীনতায়।


সূর্য, নিজেকে পুড়িঁয়ে তোমারে করে আলোকিত
জল, নিজেকে দূষিত করে তোমায় করে শোধিত
মানুষ তুমি, চাইলেই তুমি হতে পারো দূর্বার ঝঞ্ঝা
চাইলেই তুমি শোষকের সাথে লড়তে পারো পাঞ্জা।


এই ধরণীতে এসেছো কি তুমি, শুধুই নিজের জন্য
মানুষ হয়ে জন্মেও, তুমি কি কেবলি ভোগের পণ্য
হাত মুষ্টি করে প্রতিবাদী হয়ে আঁকো মুক্তির আল্পনা
আজ হতে, মুক্তির পথে চলার, হোক দীর্ঘ পরিকল্পনা।


(বিঃদ্রঃ আমার প্রিয়ভাজন বন্ধু শেষের দু’লাইন আমাকে উপহার দিয়েছে, পড়ে আমার খুব হাসি পেয়েছিলো, সেটা এখানে যুক্ত করে দিলাম -


“তবে কেউ যদি ভেবে থাকো আজকের বাঙালি লড়বে পাঞ্জা
তাহলে নির্ঘাত তুমি খেয়েছো গাঞ্জা “
)