আরো একটি ভোর এসে গেল সময় জ্ঞ্যান ভুলিয়ে ।


বিনিদ্র-রজিনিরা মিশে যাচ্ছে চোখের আঙিনায়
নক্ষত্রাজ্য যেমন মিশে প্রভায় ।
ক্রমশ কালো মেঘের পাহাড় হয় ঘনীভূত
বৃষ্টির অপেক্ষা, তারপর দীর্ঘ নিদ্রা যাপন ।
সূর্যের মায়াও ভুলে থাকি কিছু কাল;
হট্টগোল...।
অথচ যে সকল রজনী না মিশে এ শরীরে, চলে গেছে নিভৃতে
তাদের কথাতো কেউ মনে করেনি ? একবারও জিজ্ঞেস করেনি-
কেমন ছিলো ওগুলো ! চাঁদনী না ভৈরবী, নাকি দীপালি ?
শুধুই আর্তনাদঃ হারালো, হেলায় হারালো;
হারিয়ে যাওয়া দিনগুলো !


কথা দিচ্ছি-
হট্টগোল থামিয়ে দিবো, আর্তনাদ আর বইতে-
দিবোনা তোমার ধমনীতে,
তোমাদের কাতারেই দাঁড়িয়ে মেনে নিব নিয়মিত এই নিয়তিতন্ত্র ।
তুমি শুধু-
চাঁদকে তোমার সময় জ্ঞ্যান দাও, ঢেকে দাও নক্ষত্রাজ্য
আর ঝিঁঝিঁ পোকাদেরও থামিয়ে দিও;
আর শুনবোনা ওদের গুঞ্জন, দেখবোনা প্রদীপ জ্বলা আকাশ ।
অন্ধকারে আমিও অন্ধ, অতি তুচ্ছ, নগণ্য
এতো তোমারই সাম্রাজ্য ।