কেন দ্বন্দ্ব আর বিষাদ? নিছক অভিমান আর অনুযোগ?
খুঁজে দেখো সর্বস্ব, নিজের ই করে অনূদিত।
চিনতে পারো কি দর্পণে নিজের প্রতিবিম্বে?
আমি তো দেখি অনিন্দ্য চিত্র, প্রতিভাত শিল্পীর অঙ্কন
ঐশ্বর্যগর্ব বহুরূপী তুমি, অনবদ্য অস্তিত্বের গুণন।
তুমি যে নারী! প্রকাশ বহু রূপে, জগতের তরে নিরুপম,
কন্যা, জায়া আর জননী সর্বজ্ঞ তোমার চরিত্র রূপায়ণ।


জাগো বহু রূপে, মহান বোধে, শত বাধা রোধনে,
নাও ভার তব কুণ্ঠিত এই চিরাচরিত রণ নে।
দাও প্রেম, আনন্দময় নবীন তর সৃজন,
শুধায় অন্যায় তব কঠোর নিবন্ধন।
উষ্ণতা আনো দুরূহ ব্যথায় প্রাণের স্পর্শ লাগি,
ঢালো বারিধারা কষ্ট শিহরে, সর্ব আবেগ ত্যাগী।
তুমি যে নারী! প্রকাশ বহু রূপে, জগতের তরে নিরুপম,
আপন কর্ম করে যাও নীরবে আপনার লক্ষ্যে সুনিপুণ।


শীর্ষস্থান এ সম্মান আনো, সময়ের সম ধারায়,
নিরবধি সহে  অনেক যাতনা-সর্বংসহা মায়ায়।
কঠোর তুমি! পিতা, ভাই আর সন্তান হারা শোকে,
কষ্টের অতলে বিলীন না হয়ে এ সংসার বাঁচাতে।
একই তালে পরিচয় তোমার সফলতার স্বরূপে,
কর্মঠ, গুণী, কর্মে নিপুণ, জ্ঞানের অন্বেষণে।
তুমি যে নারী! প্রকাশ বহু রূপে, জগতের তরে নিরুপম,
আপন সত্তায় প্রমিত তুমি বিকশিত আপনার রূপ।


যোগ্য বিচার না হয় যদি তোমার কর্মের নিরিখে,
বৃথা নয় তোমার তুমি নিরূপিত শক্তি জাগরণে।
নিজের মূল্য নিজেকে দিয়ে, জ্বালিয়ে আপন আলো,
জাগিয়ে রাখো নিরবধি অন্তরের অকৃত্রিম সৌন্দর্য।
তুমি যে নারী! প্রকাশে বহু রূপে,জগতের তরে নিরুপম,
মহান তুমি! একক অস্তিত্বে নিজ সত্তায় অতুলনীয়।


ফারহানা রুনা
ক্যালিফোর্নিয়া, যুক্তরাষ্ট্র