হে মানুষ,আমি জানি তুমি এখন বড়ই বিচলিত।
আমি বাঁচবার জন্য তোমাকে জীবিত চাই,
আর তুমি আমাকে মেরে বাঁচতে চাও,
এই বাঁচা মরার লড়াইয়ে কে জয়ী হবে?
আমি, না তুমি?


আমি করোনা অতি ক্ষুদ্র এক জীব!
আমার জেনেটিক উপাদান আরএনএ
পৃথিবীতে এসেছে তোমার বহু আগে।
কিন্তু দেখ, আমি কত অচল, শক্তিহীন?
সেই আরএনএ নিয়েও আমি নিষ্ক্রিয়
কিছুই করতে পারি না,
যতক্ষণ না আমি তোমায় খুঁজে না পাই।
আমার বাঁচা-মরার লড়াই টা অনেকাংশেই কঠিন।


তোমার দেহের ভিতরে আমাকে প্রবেশ করে
আমার জেনারেশন বৃদ্ধি করতে হয়।
তোমার দেহের মেশিনারি আমাকে ব্যবহার করে,
তোমারই ইমিউনিটি সিস্টেম এর বিরুদ্ধে কাজ করতে হয়।
শুধু মাত্র তিরিশ হাজার বেস পেয়ার-এর আরএনএ আমি
কিভাবে তোমার মত তিনশো কোটি জিনোম
সাইজের মানুষ কে কাবু করি?


তুমি মানুষ!তুমি বিজ্ঞান জানো,
বুদ্ধি দিয়ে দিয়ে অনেক কিছু করবার ক্ষমতা রাখো।
আর আমি?
পৃথিবীর বয়সের বিচারে তোমার বড়
হয়েও জ্ঞানে বিজ্ঞানের কিছুই জানিনা।
আমি শুধু সৃষ্টিকর্তার নির্দেশ মেনে চলতে শিখেছি।
আমি সীমা লঙ্ঘন করতে পাড়ি না,
আমি অহংকারী হতে জানি না।
আমি অবিবেচক না,
আমি বিভেদ সৃষ্টি করি না।


আফসোস!
তুমি এত বড় হয়েও নিজের মূল্য বোঝো না!
তুমি এমনি ক্ষুদ্র হয়ে যাও কেন?
তোমাকে বোঝানো র জন্য আমার মত অতি ক্ষুদ্র “আমি কে”
তোমার ভিতরের “আমি”তে প্রবেশ করতে হয়।
এরপরও তোমার জন্য আমি শুভ কামনা করি,
যেন তোমার জাগরণ ঘটে।
আমায় তুমি প্রতিরোধ করতে শিখো,
জয় যেন শুধু তোমারই হয়।