অতই রজনীর নিলাঞ্চলে
মণি তারার চাঁদোয়া তুলি ঢালি
দিলি লাগেনা জোড়া ওই যে ফাঁকে
বাঁকার কি দোষ যদি নোয়ে পড়ে
এমন গুরুভার বেজোড় ঘাটে।


গগন ছেয়ে আলো খেলায়
মেতে ওঠে উষায় রবি
দিগন্ত ছেড়ে না ছুঁই বাতি
কালশশী চির কালো রাতি
তারই কাজল কেশতলে
নিজের ছায়া পাতি জ্বলে উঠে
গেল হেরে আপনার ছায়াগ্রহ  
ওই চির বাঁকা সন্ধ্যা ঘাটে।


সময় ঢলে মিটি মিটি তারা ফুটে
এক নিরন্তর রাতের নতুন খাঁজে-ভাঁজে
সময়ের বাঁকা শ্রুতে ভাসা গেল বেলা
ঐখানে ঘুমায় আকাশের বাঁকা গায়
কাছাকাছি উড়ে জোনাকি কেই বা
আর দিনের খবর নিতে চায়।


একফশলা বাতাসে নেচে উঠে বাদল
বৃষ্টি ঝরে শিশির ভেজা পাতায়
নীল ফঁড়িং উঁড়ে বেড়ায় সাথে ফুটে
রঙধনু এক বুক ভালোবাসায়।


হিজল তলায় পুষ্প বরিষনে রঙে ঐ
সাত সকালে ফুলন্ত এক টুকরো আকাশ
বেলা গড়িয়ে বারবার ঝরে ঝরে পড়ে  
এক নিরন্তর লম্বা অধরা বেজুড় রাতে
মিলেনা রে তীল ঠাঁই আর বুঝি মিলবেনা।
মাহে রমজানে - সিন্ধু তুমি ছুঁইওনা
ওগো চন্দ্রমা জল আনতে
তুমি ওই বাঁকা ঘাটে যেওনা।