কোনো এক পাতশাহী রাতে সুতা বিনে
গাঁথা গগন পবন একই ঝালরে
তুমি মুখ খোলে এক কথাই কইলে প্রথম বারে।
তোমার সেই অজানা রূপকথার গুঞ্জনা  
শুন শুন তারার ভিড়ে সে গুন গুনা
কাজল কেশে আবরু চেহারা ক্ষপার বুকে
এত সুর চাপা যেমন কাব্য ঝরে চাঁদের আননে  
তবু মুখ খোলেনা সেই মধুকথা শুনবে বলে।


বৃত্তস্থ স্থান-কালের মহাকালে একী অমর মু'যেজা
তুমি একি সময়ে চলো আগে পিছে একেলা
আকার শূন্য বৃত্তে তুমি তুরীয় পাই (Pi) জেনেও অজানা
শূন্য ক্যানভাসে রূপরেখা বৃত্ত গড়ার হার নিরাকার না
মধুভাষী নিয়ন্তা সে কী বর্ণনা প্রথম কথায়ই বলে দিলা।


দরাজ অবয়বী ধরা সারাদিনের ফুল দিবে বলে
খোঁজে তব অক্ষিগোলকে বাঁকানো মোড়ে মোড়ে
বিস্তর দিগন্তে যত সব স্পর্শক রেখা উদ্বেল বৃত্তে
বাহিরে ভিতরে হৃদয়ে রাখা গহন ফুলদানিতে।
দূরের তুমি তোমার সৌরভে শিহরিয়া বাজে
বীণা হৃদয় স্পন্দনে ধরিত্রী গাঁথে মালা প্রাণে  
বড় কাছের তুমি বিরাজো সে কোন সুদূরে?


মৃত তুমি জীবন্ত, অতীত তুমি বর্তমানে ভবিষ্যৎ
এমন আজব বিজ্ঞান বুজা কার সাধ্য
তিনশত ষাট মাত্রা পূর্ণ বৃত্ত, আঁটসাঁট পরিবেষ্টিত  
তিনশত ষাট অবিচ্ছেদ্য বিশুদ্ধচেতা কুশলী বর্গ।  
পুঙ্খানুপুঙ্খ আবৃত বৃত্ত সিলেটে বাড়ি আপনার,
ওপারে ঘুর পাক খেলেই বাড়ে, খোলে ঘুরানো বর্গ  
চির উন্মুক্ত সমকোণী চতুর্ধার আপনি মক্কার!


এখানে দক্ষিণাবর্তে সময় চলে আগে আগে
সেই সুরগর্ভা শুরু কাল থেকে এক খন্ড জমির'পরে  
একটানা চিহ্ন পরে মানবের নিরন্তর পদভারে
কবে তবে ভেসে উঠেছে কোনো সীতা
এখনো একই খোলা ময়দান এ আজব চত্তরে?


লেগেও যেন লাগেনি পরশ কাঁ'বা কেমন যে আঁকা
'গোল্ডেন স্পাইরাল' এক ধ্রুবক বর্গের ভিতরে ফাই  
(Phi) হারে বাড়ে তুরীয় বর্গ নিরন্তর চল চল ঘুরি
আসি ৩৬০ মাত্রা সাতবার, বারবার ঘুরি ফিরি
এখানে বর্গমূলের হদিস মিলেনা চল বেজোড়
মক্কায় হলেও বাড়ি বাইতুল মা'মুর!