নিমিষের তরে নিশ্চিত মরণ যে মরে
ফিরে দিলো মৃতু্যর হার তারে।
এক চুমুকেই পিয়ে নেয় সে অমরা
মুহূর্তের অমর অবিনাশী সুধা।
স্থান-কালের সবকটি ভিন্ন পরতে
আজীবনের ছন্দ নৃত্য নেচে একযোগে  
বাজিল বীণা মরণশীল কঙ্কালে
যেন সৃজন রাতের পহেলা সুরে।


তরঙ্গ মূখর সাগরতলা ঠুলি তুলে  
কালের জমাট হিয়া ভাসিয়ে ডেউয়ের
ভেলা ছুঁই নিলীমার নীল ময়ুরী
এলো সুবিন্দু শতছন্দে গীতোচ্ছ্বাসে
সিন্ধুপুরের জলসা ঘরের সুর-পরী
অধরে দিলো তুলি ভরা সিন্ধুর বাঁশরী
সে যে প্রথম ধ্বনিই সুরেলা সয়ম্ভরী!


সুরু হতে সারা সবি এলো নয়ন জুড়ি
এলো কবর খূঁড়া একমুঠ আলগ মাটি
এই পরানে তুমি আর না দিলি
হতি সলিল সমাধি শতদল নভ নীলার
ছায় ঐ যে জলে সাগর ভাসে ঘুরে পূর্ণ শশী!
ছুঁইতে তো পারেনা সে চির অধরা কুমারী জলপরী
তার কানে তুমি কইলি সে কি অমর গীতি?