দুই পাতা এক কুঁড়ির দেশে
বকুল বিছানো পথে
মনোহারী আজানের ধ্বনিতে
সুরেলা হিল্লোল ঝরা পাতায়
বন বনানী দোলনচাঁপায়
ঐ মোর ৩৬০ দরবেশের পুণ্যভূমি সিলেটে
শীতল পাটি নকশীকাঁথায়
যাবে ভাই কে মরে নিয়ে যাবে আয়।


শহর নগর অলি গলি
রজনীগন্ধার ধারে
এখনও মনে হয় রাত জাগে
ঝিঁঝিপোকার ডাকে
জোনাক জ্বলা মায়াবীলতার গাঁয়।  
আয় ভাই আয়
ঐ মোর চির চেনা বাঁকে
হেঁটে যাবো পায়।


মিঠা রোদে মন জুড়ে
পান্থজনের মুখে হাসি ঝরে
ঐ যে সুরমা, কুশিয়ারা,
মনু, কালনীর বুকে
ভালবেসে স্রোতস্বিনী ভাসে।
সন্ধ্যামালতী কুসুম হাতে
এলে শেষবেলা চাঁদনী ঘাটে
গোধূলি হাসে দোর খোলে  
ঐ মিটি মিটি তারা জ্বলা আকাশের গায়
যাবে ভাই আয়।


নদীর বুকে আকাশের
ছুঁই ছুঁই নীল ফুলের ছায়।
কোন সুদূর প্রবাসে সুদুরিকা
জল খেলে লালাখালে  
অন্তহীনা নয়াজল  
নিরন্তর ভেসে যায়।
জাফলং, মাধবকুন্ড বিছনাকান্দির পারে
রত্নগর্ভা সোঁদা মাটির সুরের মেলায়
ছুটেনা গান যেথা টুটেনা তান
তরুলতা ছন্দ বাঁধা পায়।
ঐ মোর দুই পাতা এক কুঁড়ির দেশে
আয় ভাই আয়।


বাংলাদেশে ঐ যে আতিথ্য মনাদের ভিড়ে
লালপাখীরা গান ধরে ঝর্ণাটা ঢেউ বুনে
মৌমাছি উড়ে আসে ফুলের কূলে।  
চম্পা বকুল কদম করবী কেয়া কৃষ্ণচূড়া
মৌসন্ধ্যা হাসনাহেনা মাধবী লতা  
টিয়া টুনটুনি সব ষড়ঋতুর পাখিদের
ভুবন খ্যাত চা বাগানে
এক পেয়ালা স্বাগত পানীয়র মেলায়।
আয় ভাই আয়
ঐ মোর...
বিশ্বসেরা এক কুঁড়ি দুই পাতায়!