অরুণ প্রাতে কলসি কাঁকে  
জমকাল সে চলছে আগে।
ভোরের শালিক পরিয়ে দে
জুঁই মালা তারই গলে
সে তো লুটবে আনন্দ ধুয়ে  
প্রাণ নাত স্বামীর পা
কলস ভরা নয়াজলে!


কপালে তার রাজটিকা
জুটছে কবে সেই আদি কালে।
এখনও তার আলতো পা পড়িলে মাটিতে  
অনুরাগে জমিনের স্পন্দন দুলায়
পাতালের স্লিপিং বিউটির টনক নড়ে।


নীলাম্বরী অর্ক আকাশের রবিও তা জানে
তাই বুঝি সে চেয়ে থেকে
পদ্মপুকুরের টিক মাথার উপরে  
স্নান করিতে আসলে সে দুপুরে
পরিয়ে দিবে রঙধনু মালা তারই গলে।


এলোত বাহির হয়ে সতী স্বাধবী সে
শুধুই পুকুর পাড় হতে ফুল তুলে
ঘরে ফিরে দীর্ঘশ্বাসে
স্বামী কে স্নান করাবে গোলাপ জলে।


অবশেষে বিদায় হল রবি অকালে
তার সাথে আর হলনা দেখা
সন্ধ্যামালতীর ফুল কাননে।


রাত পোহায় সে ভেবে কৃশকায়
অগণিত তারার মতন
দিল সে কত না রতন
তবু নাথের মন জুড়াবে
এবার আর কি দিয়ে?