আঁচলে তুলি মায়াবী কাজল কালো ধরণী
আলতো আলো উজল নীলা জোছনা
ঝরুক কিবা না চাঁদের হাত ধরি।
অবশেষে সব আলোর নৃত্য ক্যানভাস ছাড়ি
সুদূর তেপান্তরে যাবে যামিনী।


ওই যে ছায়াতীরে একা আঁধারি  
হয়নি উদয় সেথা কোন অরুণ রবি
কোন আলো কোনা সেজে ফুটা হয়নি।
চাঁদের তলে চির অধরা কাজল জলে ডুবি  
একাই দিছে পাড়ি দিঘল নিশি কালো জলপরী।  


কা'বা গৃহে কালো সায়র কিসওয়া
কিনারে বিনি সুতায় বাঁধা সাদা মুকুতা
জমজম ঝর্ণা নির্ঝরের মতই সদা
বহমান জল কালের ছাপমুক্ত শ্রী
সময়ে ক্ষয়মুক্ত টেকসই চিরন্তনী।


ছোট্ট কুহর জমজম ঝর্ণা ঝিড়ি
কালের অবিরল বৃত্তে অনি:শেষ ছড়া  
আর ওপারে বাঁধ ভাঙ্গা আকুল জলধি
একফোটা জলে বাঁধা আজব বিনুনি
বাঁধিলেন দু'গাছি কেশে যে মহা মানবী  
তাঁরই সুরম্য নয়নার সুরমা ছায় পড়ি  
বাঁধভাঙা নিখুঁত Pi অধরা আজোবধি।

চিরতরুণ ধরিত্রীর হৃদয় কুসুমে না শিশির জলে
না আকাশের গুম্বুজে শুধু তাঁর দুটি চুলে।  
ওই কালো ছায়া কৃষ্ণ কেশের হিজাব খুলে  
রঙ ফোটাবে সে সাধ্য নেই চন্দা কিম্বা সুরুজে।