জিবনময়ী মাটির গভীর ধুসর উত্তরী আঁচল
ঐ পাঁজরে আঁকড়ে ফোটা চির হরিদ্বর্ণ শ্যামল
আবেহায়াতে ভিজে শীতল হৃদয় পুরে
পুরা জানে এক বিন্দু অমৃত জল।


একি বৃত্তে ঠানে ফুটে যে শিশির ফোঁটা
সূর্য উদয় গিরি অস্তে যাওয়া সান্ধ্য সায়র
আর মাঝখানে সাদা মেঘের উপর
জানে ঐ গগনপারের নীল্ কমল।

এখনো জ্বলে আশায় বাঁধা এক বুকে
নিভেনা সে দীপ কোনো গোধূলি লগনে।


জানে তা অরুণার নরম আলো তাইত এত দরদ
ভোরের পাখির গানে চির চেনা বেণুবাঁশির সুরে
এক পলক ও তারে ভুলতে পারে না রে
স্বপ্নের বাংলাদেশ তুমি আসবে কবে?


মাতৃভাষায় জগৎবিজেতা রাজরাজেশ্বরী
এক মধুভাসী মায়ের কথার দোহাই দিয়ে
কুঁড়ি ফুটে কলিকা অভিষেক হয়েছিল এ জাতির
ঐ একি মায়েরই অঙ্গনে উর্বরা উর্বীর মধু মেলা  
কখনো বীর ঈসা খাঁর সোনারগাঁয়ে
মসলিন আঁচলে ছাত্তয়া স্পর্শাতীত শুচিতা
কখনো বরিষ্ঠ নবাব সিরাজদ্দৌলার দরবারে
ব্রিটিশ উঠতি নয়ন ঝলসান রত্নলীলা।


অরূণোদয়ে আকাশী নীল রঁজকে কৃষ্ণচূড়া
কখনো প্রিয়ার প্রিয়াঙ্গনে বিহঙ্গা
সোনার আলো ফুটে দোর খোলা শান্তির নীড়ে
স্বপ্নের বাংলাদেশ তুমি আসবে কবে?