অরুনা প্রাতে লালিমা তরুণা
রাতভর পরা ঘোর কাজলা
কালো নেকাব আধো খোলে
কুমারী মহি ভোরের বিছানায়
বসে পুত পবিত্র ফুলের ধারে।


শিশির ধোয়া শিউলি মালতি
ফুলকলিরা রঙে রঙে ফুটে
দেখনা গোলাপ মালাখানি মেলে
ঢেলে দেয় তারই গলে।


কোন না দেখা দেশে নিশা
যেতে যেতে দীঘল পথে
উধাও হতে না হতে তারই  
লম্বা কেশতল ধরে ঢলে পড়ে
নীলাম্বরী সূর্য ধরণী তলে।

ধুলা বালি মেখে দিন দুপুরে  
আলোফোটা সুনীল সুধায়
নেচে হেঁটে জলধির জলে
সমুদ্দরভরে যায় সাগর ছেড়ে
বাঁধ ভাঙ্গা তরঙ দোলা বেয়ে
উঠে সঘন ঘনঘটা গগনপারে
সে প্রনয় রাশি ভরে না সিন্ধুপুরে।  


বুকভরা সে কথা ঝরি কত না গীতি
গায় বাদল বাজে নীর বাঁশরি।
খরা দিনে এঁকে সে কী সজল
জলছবি সাত রঙে সাজে বনপরী
কুহু কুহু বলে কী কইল গোলাপি
শুধু শুধু চোখে দেখে গেয়ে গেল বুলবুলি।
না এঁকেও আঁকে না নড়েও নড়ে  
আকার বিনা মুকুর ঠাহরী নয়নে
অরব চঞ্চলা সময় চোখের ভাষা বলে।  


ভাসে যদি একফোটা জল ঐ চোখের কোণে
বিম্বধরে সারা জাহা ভাসে তুরীয় তরঙ্গে।