সোধা মাটির আবেগী গন্ধে
সাথী হয় নীল আকাশ মেলি
ডানা ওড়ে রঙিন প্রজাপতি।


জলে ভেজা আধো ভাসা তটে
রোদের রঙ ঝুরি রবি ডুবে
শ্রাবন বরিষা কতনা নাজানা
শব্দ সুরে গেয়ে যায় বুক ভেসে
ফির বসে রৌদ্র মেলা নীলিমা
নীর ঝরে গোলাপজল ছিটে
ওই আধো জল আধো মাটির
মিলনতলা যায়না তো মিটে।


মহুয়া মউয়ে পিয়ালা ভরা ডালে
কুহুকুহু মখুর হাওয়া পাখির গানে।
সাত সকালে হিজলতলায় পুস্পবারি
রঙে রঙে সাজে বেলা ফুলবনে।
আঁচল উড়ে রঙধনু গগনপারে তুলে
সুনীল কমল ঢলে পড়ে ধরাধামে
সজল তরুণা শ্যামলিমার গলে।
  
এমন আলোঝলোমল দিনে বাক হারা
বনপরী বাসন্তী প্রপাত ঝর্না তীরে
শিকড় মূলে সে কী জল পানে।


সুরঘন-সমুদ্র বুক চিরিয়া ভিড়ে
নিশি ওই মৌন অধর কোণে দেয়
ঢেলি একখানি নন্দ কলি চন্দ্ররসে এঁকে
সে চঁচল চন্দ্ররেখা কল্পনামদির জোছনায়
কতনা আলোআঁধারির আলতো বাঁকে।


এখনো মগন ওই মাটির মধুর সুরা পিয়ে  
আগলে রাখে তা নতনয়নে হৃদয় গভীরে।
তাই বুঝি বিশুদ্ধ ভূমি মক্কা-সিলেট একমুঠ    
মাটির জুড় মিলে মাঝ পৃথিবীর নীলাক্ষেত্রে।  


সব রঙে রঙিয়া অনন্ত নীলে জ্বলা প্রদীপ
মধুর রসেরও ধারায় মদিরা ফাগুন
জ্বলে ফোটা গোলাপ কোমল তপস্যি আগুন।
বিন্দু জলের তরঙ্গ উল্লাসে প্রাণচঁচল জলধি সুবিন্দু  
তিলে তিলে সূর্যাস্ত জলছায়া ধেয়ে ফোটা চন্দ্রবিন্দু!


সন্ধ্যা ঢলে অস্তাচলে সে ছায়ানীর জলছাপ ঘাটে
ঘনায় নিশি রবি ডুবে জলকেলে নিরবে নিভৃতে
ছুঁইবে কী পায়নি পার ঝিনুক এ আজব অলকমেঘে।
জানি এক ঝড়ে মেতে উঠেছিল বিন্দু থেকে সুবিন্দু
এবার ঝরে দাও শুধু একফোটা বারি বিন্দু
আমার স্বপ্নের বাংলাদেশে তোমার একটি পদরেনু।